নিরাপত্তা পরিষদে গাজা প্রস্তাব পাস

আপডেট: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

অবরুদ্ধ মানবিক সহায়তা নিশ্চিত হোক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা এখন মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখিন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, যুদ্ধের দায়-দায়িত্ব যে বা যাদেরই হোক না কেন সেখানে নারী ও শিশুরা মরছে, সাধারণ মানুষ মরছে- এদের সর্ব সুরক্ষাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদ মাধ্যমের তথ্যমতে, অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় ৬ লাখ মানুষ বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখিন হয়েছে এবং আগামী ৬ মাসের মধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ২১ ডিসেম্বর ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) রিপোর্টে এই তথ্য ওঠে এসেছে।

তবে আশার কথা এই যে, কয়েক দফা বিলম্বের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবশেষে গাজা প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাস হয়। নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিলেও; ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।

পাসকৃত প্রস্তাবে উঠে এসেছে, সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কাছে বাধাহীনভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে। একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির অবস্থা তৈরি করতে হবে। ত্রাণ সরবরাহের জন্য যত পথ আছে তার সবগুলো ব্যবহার উপযোগী করে দিতে হবে। জাতিসংঘের প্রধানের প্রতি একজন কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যিনি ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি দেখবেন। এছাড়াও জিম্মিদের মুক্তি দেয়া ও মানবিক সহায়তা পূরণে গাজায় পর্যাপ্ত জ্বালানি প্রবেশ করতে দেয়ার দাবি জানানো হয়।

আইপিসি- এর প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ব্যাপক মৃত্যু রোধে আরো জরুরি খাদ্য এবং বহু-খাতে সহায়তা সরবরাহ অপরিহার্য। ‘সম্প্রতি সাত দিনের যুদ্ধবিরতি দেখিয়ে দিয়েছে যে, সংঘাত বন্ধ থাকলে ডব্লিউএফপি, অংশীদাররা সহায়তা প্রদান করতে পারে ও কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খোলার ফলে গাজায় আরও খাদ্য এবং অন্যন্য ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ তৈরি হয়।

মানবিক মানুষ মাত্রই এ ব্যাপারে সঙ্গত বোধগম্য যে, অবরুদ্ধ গাজার মানবিক বিপর্যয় রুখতে সমর্থন জানান এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার সময় এসেছে। সশস্ত্র হামাস জাতিসংঘ প্রস্তাবে নাখোশ হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো অসহায় মানুষদের বেঁচে থাকার অধিকার সুরক্ষা দেয়াটাই অধিক জরুরি। বিষয়টি সকলপক্ষকে অনুধাবন করতে এবং অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তার অভিগম্যতায় সহযোগিতা করা। একইভাবে এ প্রত্যাশাও গুরুত্বর্পূর্ণ যে, একটি স্থায়ী যুদ্ধ বিরতির পথে হাঁটতে হবে সকল পক্ষকে।