অতিথি পাখির অভয়াশ্রমের কথা

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ


মুহাম্মদ খাদেমুল ইসলাম, বাগাতিপাড়া :


অতিথি পাখির নিরাপদ অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার বারইপাড়া দিঘী ও ধোপারবিল। হাজারো পাখির কলকাকলিতে এখন মুখরিত হয়ে উঠেছে ধোপারবিলের বেশ খানেকটা অংশ এবং বারইপাড়া দিঘী।

বাগাতিপাড়া পৌরসভার বারইপাড়া দীঘি এবং উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ধোপারবিলে পাখির জলকেলি আর নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন পাখিপ্রেমীরা। এসব পাখি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি এলাকাবাসীর।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বারইপাড়া দিঘীর জলে অতিথি পাখির (বালিহাঁস) আগমনে দিঘির সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠেছে। দিঘী জুড়ে হাজার হাজার পাখির এ যেন এক মিলন মেলা। প্রতিদিন ভোর রাতে ঝাঁক বেঁধে দিঘীতে নামে এসব পাখিরা। আর সন্ধ্যা নামলে নান্দনিক কসরতে ডানা মেলে আকাশে উড়ো উড়ি করে তারা। পাখির কিচিরমিচির শব্দে ও জলকেলিতে পুরো এলাকা মুখর হয়ে উঠে। একই চিত্র দেখা গেছে উপজেলার ধোপারবিলে। সেখানেও হাজার-হাজার অতিথি পাখি এসেছে।

ধোপারবিল এলাকার বাসিন্দা আলতাফ আলী বলেন, অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে ঘুম ভাঙে বিল এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগেই সবাই মিলে এসব পাখিদের নিরাপত্তায় কাজ করছেন। বারইপাড়া গ্রামের হাবিবা খাতুন বলেন, শীত মৌসুমের শুরু থেকেই এ পাখিগুলোর আগমন শুরু হয় এখানে। মৌসুমের শেষের দিকে আবার চলে যায়। প্রতিদিন পাখিদের ভাসমান খাবার দেন বলে জানান তিনি। পাখিপ্রেমীদের বসার জন্য তার বাড়ির সামনে মাচা ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।

এদিকে পাখিদের জলকেলি, খুনসুটি আর কিচিরমিচির শব্দ উপভোগ করতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে আসছেন পাখিপ্রেমীরা। আব্দুল লতিফ নামের এক বলছেন, এমন অসংখ্য পাখি এক সঙ্গে আর দেখা হয়নি। মন খারাপ হলেই দিঘীর পাড়ে ছুটে আসেন অনেকে। একটু বসে পাখি দেখে মনে শান্তি নিয়ে ফিরেন দর্শনার্থীরা। দিঘীটির পাশে তেমন বসার স্থান না থাকায় অনেকে দাঁড়িয়ে নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা জানান, ওই দিঘীসহ একাধিক স্থানে অতিথি পাখির অভয়াশ্রমের খবর শুনেছেন তিনি। তবে এসব স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় পর্যটন স্পট করা সম্ভব না হলেও পাখিদের নিরাপত্তাসহ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।