অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা পেলো কাঁচি প্রতীক

আপডেট: ডিসেম্বর ২০, ২০২৩, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ

নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:


আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সমনে রেখে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। সরব প্রচারণায় এখন মুখর রাজশাহী। এছাড়া রাজশাহী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শেষ সময়ে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) উচ্চ আদালত থেকে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পান। আর বুধবার (২০ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন তিনি। প্রতীক পেয়ে তিনিও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

রাজশাহীর ৬ টি আসনেই প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। পোস্টার-ব্যানার ও মাইকিং এ জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। দুপুর ২ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। করছেন গণসংযোগ।

রাজশাহী-১ গোদাগাড়ী- তানোর) আসন :
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে সকল প্রার্থীই প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে প্রচারণায় সরব থাকতে দেখা গেছে ঢাকায় নায়িকা মাহিয়া মাহীকে। এছাড়া বিএনএম মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামসুজ্জোহা বাবুও প্রচারণায় সরচ। বাবু বলেন, গোদাগাড়ী, তানোরে পরিবর্তনের আওয়াজ উঠেছে। মানুষ নিজেদের ভাগ্য বদল করতে চায়। নিজেরা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। এই পরিবর্তন নিশ্চিত করতে তিনি সবাইকে নোঙ্গার প্রতীকে ভোট দেয়ার আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার গোদাগাড়ীর বিভিন্নস্থানে গণসংযোগকালে তিনি এই অনুরোধ করেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন মহল্লায় গণসংযোগ করেন শামসুজ্জোহা বাবু। তিনি সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং প্রচারপত্র বিলি করেন। এসময় অনেকেই তাকে বলেন, আমরা এমপি হিসেবে এমন একজন ভালো মানুষকে দেখতে চাই, যিনি মানুষকে সম্মান করবেন। অন্যের কথার দাম দিবে। শুধু উন্নয়ন করবো বললে হবে না। মানুষ উন্নয়ন যেমন চায়, সম্মান নিয়ে বাঁচতেও চায়। জনপ্রতিনিধিদের কাছে গিয়ে নিজের কষ্টের কথা বলার সুযোগ চায়।

ভোটারদের এসব কথার প্রেক্ষিতে শামসুজ্জোহা বলেন, প্রতিটি মানুষকে যথাযথ সম্মান দেয়া আমার অভ্যাস। আমি মানুষকে সম্মান করতে জানি, মানুষের কষ্টও বুঝি। দিন বদলের আকাঙ্খা পূরনে তিনি এবারে সবাইকে নোঙ্গর প্রতীকে ভোট দেয়ার অনুরোধ করেন। গণসংযোগকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম এর নেতা কর্মী ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলো।

রাজশাহী-২ আসনে প্রচারণা :
প্রতীক পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের জোটের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের ফজলে হোসেন বাদশা ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী কাঁচি প্রতীক নিয়ে শফিকুর রহমান বাদশা প্রচারণা শুরু করেছেন।
অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বলেন, গত তিন নির্বাচনের মতো এবারও নৌকা ‘ছিনতাই’ হয়ে গেছে। আমার লড়াইটা হবে নৌকা মাঝি পাল্টানোর। যিনি এই আসনে নৌকা পেয়েছেন তিনি প্রকৃত মাঝি নন। বাধ্য হয়ে আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কেউ এই আসনে মনোনয়ন পেলে নেতাকর্মীরা চাঙ্গা থাকতো। তাদের মনেও কষ্ট থাকতো না। স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন নিয়েই মাঠে নেমেছি। শিক্ষাবিদ হিসেবে নিজের জয়ের ব্যাপারেও শতভাগ আশাবাদী তিনি।

অন্যদিকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে আগামী দিনে দৃশ্যমান শিক্ষানগরী থেকে স্মার্ট নগরী গড়তে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী-২ আসনে ১৪ দল মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা।
বুধবার বিকেলে নগরীর কোর্ট অঞ্চলের হড়গ্রাম বাজার থেকে শুরু করে কোর্ট স্টেশন পর্যন্ত গণসংযোগকালে জনসাধারণের প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান।

এসময় জনতাকে উদ্দেশ্য করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, গত তিন মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আপনারা আমার ওপর অগাধ আস্থা রেখেছেন। এর জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আজ থেকে ১৫ বছর আগের রাজশাহীর দিকে তাকান; আর আজকের রাজশাহী দেখুন; পার্থক্য নিজেরাই উপলব্ধি করতে পারবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি ও আন্তরিক সহযোগিতার কারণে রাজশাহী আজকে সারাদেশের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তার নেতৃত্বেই রাজশাহী আজকে শিক্ষা নগরী। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি আপনাদের বলতে চাই, আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখে যদি আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দেন; তবে সারাদেশে আমাদের রাজশাহী নগরীই হবে প্রথম স্মার্ট নগরী। এ সময় স্লোগান দিয়ে সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীরা নৌকায় ভোট দেয়ার অঙ্গীকার করেন।

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে সাবেক তুখোড় এই ছাত্রনেতা বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আগুন সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার খেলায় মেতে উঠেছে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। তারা বাসে আগুন দিচ্ছে, চলন্ত ট্রেনেও আগুন দিচ্ছে। তারা আসলে কাদের জন্য রাজনীতি করে সেটি আমরা বুঝিনা। তবে তারা সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করে না সেটি অবশ্যই বুঝতে পারছি। কারণ তারা মানুষের জন্য রাজনীতি করলে কখনোই মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ফেলত না। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আছি, তাদের দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। প্রথমটি তাদের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে নির্বাচনকে উৎসবমুখর নির্বাচনে পরিণত করা; এবং দ্বিতীয়টি তারা যেন সাধারণ মানুষের জান মালের ক্ষতি করতে না পারে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক তথা সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তাই আসুন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তির ঐক্যকে সমুন্নত রাখি।

গণসংযোগ কালে নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশার সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, প্রগতিশীল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ জনতা উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর)আসন :
এ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেন। তিনি নারীদের সম্মানিত করেছেন, শিক্ষকদের সম্মানিত করেছেন, শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছেন। দেশের অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন সেটা দেশের প্রতিটি পাড়া মহল্লার চিত্র। প্রতিটি খাতের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। এসব করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার মার্কা নৌকা মার্কা। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির মার্কা নৌকা। যারা দেশকে ভালোবাসেন, এদেশের উন্নয়নে খুশি হোন তাদের কাছে নিবেদন নৌকা মার্কায় ভোট দিন।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের শিশাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদ এ কথা বলেন। আসাদ বলেন, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আপনাদের কাছে ভোট চাইতে এসেছি। আপনাদের কারো যদি আমার থেকে অন্য কাউকে যোগ্য প্রার্থী মনে হয়, আপনি অবশ্যই তাকে ভোট দিতে পারেন। তবে, একটাই অনুরোধ, ৭ জানুয়ারি প্রতিটি ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাবেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। এটা আপনার আমার সবার অধিকার, সেই সাথে দায়িত্বও।

আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমরা যখন স্কুলে যাই তখন আমার নামের সাথে শুধু বাপের নাম ছিল। এখন কি তাই হয় নাকি মায়ের নামও যোগ হয়? এই মায়ের নাম যোগ কে করেছে, শেখ হাসিনা করেছে। তিনি মায়েদের সম্মানিত করেছেন। সেজন্যই তো শেখ হাসিনার জন্য মানুষের কাছে ভোট চাওয়া উচিত। ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের আলাদা একটা অধিকার আছে।

রাজশাহী-৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরও বলেন, আমরা জিতবো, নৌকা মার্কা নিয়েই জিতবো। কিন্তু আমাদের জেতাটাই জেতা না। শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। কারণ শেখ হাসিনা আমেরিকার সাথে চ্যালেঞ্জ করেছেন। চ্যালেঞ্জ হলো, আমাদের দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে সেই উন্নয়নের কারণেই কোন দল আসলো কোন দল আসলো না, এটি দেখার বিষয় না। আমাদের দেশে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে মানুষ ভোট দিতে আসবে। সেই কারণেই আমরা চাই আপনারা দলে দলে গিয়ে ভোটটা দেন।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ বলেন, একটি সময় ছিল, সারের জন্য কৃষক ভাইদের ডিলারের পেছনে জমির দলিল নিয়ে দৌড়াতে হয়েছে, গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমন একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে তো শেখ হাসিনাই রক্ষা করেছেন। সেই কারণেই তো বিএনপি করা কৃষক বন্ধুর কাছ থেকে নৌকায় ভোট চাই। শেখ হাসিনা আপনার উপকার করেছে, উপকারীর ঋণ শোধ করা ধর্মীয় দায়িত্বও বটে। শেখ হাসিনা মানুষকে ছোট করেন না, অসম্মানিত করেন না।

হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউনুস আলীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নওহাটা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজিয়া বেগম, হুজুরিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।

বাগমারা-৪ আসনে নির্বাচনি প্রচারণা :
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। বুধবার (২০ডিসেম্বর) সকাল থেকেই তিনি নরদাশ ইউনিয়নের ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ বাগমারা আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ দলীয় নেতৃবৃন্দ কে সঙ্গে নিয়ে ওই ইউনিয়নের হাট-মাধনগর বাজার থেকে প্রচারণা আরম্ভ করেন। এরপর কাষ্টনাংলা, গোড়সার, নরদাশ, কোয়ালীপাড়া, বাধেরহাট, বাসুদেবপাড়া, হোসেনপুর, জয়পুর, মাদিলাসহ নরদাশ ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচারনা করছেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।

এসময় বিভিন্ন পথসভায় নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাগমারার উন্নয়নে আমি আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর হাত কে শক্তিশালী করতে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। আমি আপনাদের আপনজন হতে চাই। বিগত সময়ে বাগমারার যে উন্নয়ন হয়েছে আমি পাঁচ বছরে তার অধিক উন্নয়ন করতে চাই।

এসময় সঙ্গে ছিলেন, নরদাশ ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুর রশিদ, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সাবেক সাধারণ-সম্পাদক আনিসুর রহমান মাস্টার, ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কমিটির আহবায়ক জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার আবু জাফর
রাজশাহী বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব অ্যাড, জাকিরুল ইসলাম সান্টু, জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ড, পিএম শফিকুল ইসলাম, জেলা আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নরদাশ ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুল প্রমুখ।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) :
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আলহাজ্ব মো আব্দুল ওয়াদুদ দারা গণসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা করেছেন ।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নৌকাকে বিজয়ের লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ ও পথসভা করেন।

গণসংযোগ কালে আব্দুল ওয়াদুদ দারা জনগনের সামনে তুলে ধরছেন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড। সেই সাথে নিজে দুইবার সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ের তার অবদানের কথাও তুলে ধরছেন। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে অতীতের মতো আবারও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে নৌকাকে বিজয়ী করাতে জনগণের কাছে ভোট চান তিনি।

এসময় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএম একরামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সামাদ, পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু, জিউপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান, সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ডলারসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) :
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের নৌকার প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানান। উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বাঘা উপজেলার বাউসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনী প্রচারনা সভার আগে ও পরে ১৫ বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ