অবরোধের অজুহাতে বেড়েছে পণ্যর দাম II আলু ও পেঁয়াজে আগুন

আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২৩, ১০:১৭ অপরাহ্ণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে অবরোধের অজুহাত দেখিয়ে বেড়েছে নিত্যপণ্যর দাম। গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম। একই সাথে বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) নগরীর বিভিন্ন বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে।

নগরীর সাহেববাজার, নিউমার্কেট, শালবাগান ও নওদাপাড়া বাজারে দেখা যায়, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ১১০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। এছাড়াও এ সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে, আদা ২৪০ টাকা। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। শুক্রবার করলা ৬০ টাকা, কচু ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭৫, বরবটি ৬০ টাকা, সজনে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা ও বেগুন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাহেববাজারের বিক্রেতা আকরাম হোসেন বলেন, সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। বেশি দামে কিনতে হয় বলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুল হালিম বলেন, অবরোধের কারণে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

এ সপ্তাহে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা। এ সপ্তাহে মুরগির লাল ডিম ৫২ টাকা হালি, সাদা ডিম ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা।

প্রতিকেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকা, কই ৫৫০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ