রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নওগাঁ প্রতিনিধি :
অবশেষে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন বহিরাঙ্গণ অবৈধ দখলের হাত থেকে মুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রধান ফটক সংলগ্ন দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন সড়কগুলো বছরের পর বছর ট্রাক্টর রাখার গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিলো।
এই বিষয়ে বিগত সময়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন নি। উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল।
বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীনকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি একাধিকবার ট্রাক্টরের মালিকদের নির্দেশনা দিলেও তা মানা হয়নি। তিনি উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন নওগাঁ-আত্রাই রোড এবং রাণীনগর-আবাদপুকুর রোডের সকল স্থান থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে একাধিকবার নোটিশ প্রদান করেন।
তারই প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদে প্রবেশের প্রধান ফটকের ট্রাক্টর রাখার স্থানটি উদ্ধার করে সেখানে ইটের পিলারের মাধ্যমে ঘিরে রাখা হয়েছে। দ্রুতই উদ্ধার হওয়া জায়গায় বিভিন্ন ফুলসহ সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছ রোপন করা হবে বলে জানান ইউএনও মোহাইমেনা শারমীন।
পথচারী রফিক হাসান, আব্দুল আওয়ালসহ অনেকেই বলেন এমনিতেই পরিষদ সংলগ্ন রোডগুলো অনেক সংকুচিত তার উপর পরিষদের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন জায়গায় রাতে-দিনে ট্রাক্টর গ্যারেজ করে রাখা হতো। এতে করে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়। এ
ছাড়া পরিষদের সম্মুখভাগের প্রাচীর অবৈধ দখলে থাকার কারণে পরিষদের সৌন্দর্য চরমভাবে ব্যাহত হতো। বর্তমানে অবৈধ দখলে থাকা জায়গা উদ্ধার করে খুবই ভালো লাগছে। আরো সুন্দর হবে যদি উদ্ধার করা জায়গায় ফুলসহ বিভিন্ন সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছ রোপন করা হয়। এতে করে পথচারীরা চলাচল করার সময় পরিষদের সুন্দর পরিবেশ যেমন উপভোগ করতে পারবেন তেমনি ভাবে পরিবেশের ভারসাম্যও অনেকটাই রক্ষা হবে।
ইউএনও মোহাইমেনা শারমীন জানান, অনেকবার অবৈধ দখলকারীদের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি বললে তারা নানা বাহানায় কালক্ষেপণ করতে থাকেন। আপাতত ব্যস্ততম আবাদপুকুর রোড সংলগ্ন অবৈধ দখলে থাকা প্রধান ফটকের বহিরাঙ্গণের জায়গায় দিনে কিংবা রাতে ট্রাক্টর রাখার হাত থেকে মুক্ত করতে ইটের পিলার আর প্লাস্টিকের নেটের মাধ্যমে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।
দ্রুতই একটি সুন্দর ও ছিমছাম পরিবেশ সৃজন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ফুলের গাছসহ বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছ রোপন করা হবে যেন পথচারীরা চলাচলের সময় সুন্দর একটি পরিবেশের সঙ্গে বিভিন্ন ফুলের গাছে ফুটে থাকা হরেক রকমের ফুলের সুগন্ধ উপভোগ করতে পারেন।
এছাড়া অন্যান্য যে সকল স্থানে অবৈধভাবে বস্তির মতো এবং ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে বছরের পর বছর উপজেলা পরিষদের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করে আসছেন তাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তারা দ্রুত সেই সকল অবৈধ দখলে থাকা জায়গাগুলো মুক্ত করে দিবেন।
এতে করে পরিষদের চারপাশ দিয়ে একটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ সৃজন করতে দ্রুত নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আর যদি পুনরায় কেউ মুক্ত করা জায়গাগুলো অবৈধ ভাবে দখল করার চেষ্টা করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#