অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষকের পদ দখলের অভিযোগ, পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ৮:৪১ অপরাহ্ণ

পাবনা প্রতিনিধি:


ক্ষমতার দাপটে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল, জাল সনদে চাকুরী, বিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যকরণ, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতি ও বিদ্যালয়ের নামে সরকারি অনুদান টিআর, কাবিখা প্রকল্প নিয়ে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ উঠেছে পাবনার চাটমোহর পবাখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে।আর এসব অভিযোগে তার পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।



বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চাটমোহর উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধনকারীরা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলামের বিচার দাবী করে নানা ধরনের শ্লোগান দিতে থাকেন।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ফৈলজানা ইউনিয়নের পবাখালী গ্রামে ও এর আশে পাশে কোন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে এলাকার সচেতন মানুষ ও শিক্ষানুরাগীদের প্রচেষ্টায় সরকারি সকল বিধি বিধান মেনে ১৯৯৬ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালিন প্রধান শিক্ষক ছিলেন এলাকার শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব আফসার আলী ও সভাপতি হিসেবে ছিলেন আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন (দানু)। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পরে এলাকার প্রায় সকল অভিভাবক তাদের সন্তানকে এই স্কুলে ভর্তি করান। প্রয়োজন মতো বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। ভালই চলছিল বিদ্যালয়টি।

এরপর ২০০৯ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে স্থানীয় সাবেক সাংসদের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পলাশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হঠাৎ একদিন বিদ্যালয়ে আসেন। প্রধান শিক্ষকের চেয়ার থেকে প্রধান শিক্ষক আফসার আলীকে টেনে হিঁচড়ে চেয়ার থেকে তাকে তুলে দিয়ে সেই চেয়ারে বসে নিজেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘোষণা দেন। এরপর বিদালয়ের সকল কাগজপত্রাদী আলমাড়ী ভেঙ্গে তার আয়ত্বে নিয়ে নেন তিনি। স্কুল কর্তৃপক্ষ সে সময় তার সন্ত্রাসী বাহিনী ও পুলিশী হয়রানীর ভয়ে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।

মানববন্ধন থেকে অতি দ্রুত অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম পলাশের পদত্যাগ ও তার সকল অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

এ বিষয়ে পবাখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুল ইসলাম পলাশের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ’২০০৭ সালে আফছার আলী অবসরে যাওয়ার পর প্রায় তিনবছর স্কুল বন্ধ ছিল। পরে এলাকার লোকজন এবং স্কুল সংশ্লিষ্টরা আমাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০২২ সালে স্কুলটি এমপিওভুক্ত হলেও আমার এখনও বেতন হয়নি। আর শিক্ষক নিয়োগ তো ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তর দেয়। এছাড়া স্কুলের কোনো আয়ও নেই। তাহলে দূর্নীতি করলাম কিভাবে? বরং ব্যক্তিগত টাকা খরচ করে স্কুল চালিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ