অভিনীত হলো নাটক “চলো যাই গ্রহান্তরে”

আপডেট: এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ১১:২০ অপরাহ্ণ


সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:১লা বৈশাখ রোববার (১৪ এপ্রিল) শুভ নববর্ষ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মুক্ত মঞ্চে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শুভ নববর্ষ পালিত হলো অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে। অসংখ্য জনগণের উপস্থিতিতে মেতে উঠেছিল শিশু একাডেমির মাঠ। গানে, সংগীতে ও নৃত্যে ঝংকারে মেতে উঠে শিশু-কিশোর আবাল বৃদ্ধ বণিতার মন। শিশুদের মাঝে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি শুরু হয় নৃত্যের মাধ্যমে। সব শেষে বরেন্দ্র শিশু থিয়েটার, রাজশাহীর পরিবেশনা একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক নাটক “চলো যাই গ্রহান্তরে” অভিনীত হয়।

নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় দ্বিজেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী। রূপশয্যায় : আলো রানী মৈত্র, পোশাক নির্বাচনে ল্যাডলী মোহন মৈত্র (মিলন), সাউণ্ড সিস্টেমে ইকবাল আলী, প্রচার ও ক্যামেরায় তাপস চক্রবর্ত্তী, সহযোগিতায় ডা: শীতাংশু ব্যানার্জী। নাটকে যারা অভিনয় করে – পরী : নবনিতা প্রামাণিক, সূর্য: সঙ্গীতা প্রামাণিক, পৃথিবী : অর্পিতা রায়, বুধ: ঐশী দাস, শুক্র : জয়াবতী দাস, চন্দ্র : ত্রয়ী সাহা, রংধনু: রিতিকা সরকার, পৃথিবী বন্দনা: অর্ণিতা ভট্টাচার্য, কবি: প্রিয়ন্তী বণিক, নূপুর দাস, মৌমিতা ঠাকুর, অনন্যা সেন, ঘোষক: মৌমিতা ঠাকুর, অন্তিমা সাহা, রিতিকা সরকার, নৃত্যে: সঙ্গীতা, নবনিতা, অর্পিতা, নূপুর, মৌমিতা, জয়াবতী, ঐশী, অনন্যা, প্রিয়ন্তী, ত্রয়ী, রিতিকা। তারা প্রত্যেকে রাজশাহী ভোলানাথ বিশ্বেশ্বর হিন্দু একাডেমির ছাত্রী।

নাটকের কাহিনি সংক্ষেপ: “চলো যাই গ্রহান্তরে” নাটকটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী এক নাটক। এখানে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ ও উপগ্রহগুলিকে মানুষ রূপে কল্পনা করে চরিত্র সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের মুখেই শোনা যাবে তাদের জন্ম-ইতিহাস আর তাদের সীমাহীন কর্মদক্ষতার কথা। সূর্য কীভাবে গ্রহগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, গ্রহগুলি কীভাবে আবর্তিত হচ্ছে, রংধনু কেনো উদিত হয়, কখন উদিত হয়, তার রং কয়টি, ইত্যাদির উত্তর সুন্দরভাবে আমরা পেতে পারি গ্রহ ও রংধনুর কাছ থেকে। সবুজ গ্রহ পৃথিবীর জীবনকাহিনী আমরা জানতে পারবো পরী আর পৃথিবীর কথোপকথনে। চাঁদ মামা সম্পর্কে আমাদের ধারণা এ নাটক থেকে মিলিয়ে নিতে পারি অতি সহজে। বিজ্ঞানভিত্তিক এ নাটক শিক্ষার্থীদের ভীষণভাবে কাজে লাগবে বলে আমার বিশ^াস। গ্রহ, উপগ্রহ, আর নক্ষত্র নিয়ে লেখা এ নাটকটিতে আছে নতুনত্ব আছে অভিনবত্ব। সঙ্গত কারণে এ নাটকের নাম রাখা হয়েছে “চলো যাই গ্রহান্তরে। ”