অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র উড়িয়ে দেন বঙ্গবন্ধু

আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২৩, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র হয়েছিল কলকাতার আমেরিকান কনস্যুলেট হো চি মিন সরণিতে বসেও। যদিও এই ষড়যন্ত্রের সদর দপ্তর ছিল ওয়াশিংটন ও রাওয়ালপিন্ডিতে। সরকারের বিরুদ্ধে এসব দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা বিভিন্ন সময়ে জানানো হলেও বঙ্গবন্ধু এসবে তেমন একটা গুরুত্ব দেননি। তিনি বিশ্বাস করেননি, কোনো বাঙালি তাকে হত্যা করতে পারে। এমনকি হত্যাকাণ্ডের আগের দিনও ‘র’ এর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করা হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে অশোক রায়নার ‘ইনসাইড র দ্য স্টোরি অব ইন্ডিয়াস সিক্রেট সার্ভিস’ গ্রন্থ থেকে আরও জানা যায়, ‘বেগম জিয়ার বাড়ির ট্রেস থেকে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ক্যু-এর একটি স্ক্রাপ পেপার উদ্ধার করা হয়েছিলো হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে। কাগজটি গার্বেজ করা হলেও একজন গুপ্তচর গৃহভৃত্যের মাধ্যমে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করে দেয়ার জন্য ‘র’-এর পরিচালক রামনাথ কাউ ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পান বিক্রেতার ছদ্মবেশে বাংলাদেশে আসেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করলেও বঙ্গবন্ধু সেটাকে যথারীতি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ওরা আমার সন্তানের মতো। কাউ হতাশ হয়ে দিল্লি ফিরে যান। সেই চিরকুটে জিয়াউর রহমান, মেজর রশিদ, মেজর ফারুক, জেনারেল ওসমানী এবং মেজর শাহরিয়ায়ের নাম ছিলো।

‘র’ ১৯৭৫ সালে সর্বশেষ আরেকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে দিল্লি থেকে ঢাকা পাঠায়। তিনি বঙ্গবন্ধুকে এই সম্ভাব্য অভ্যুত্থানের ব্যাপারে একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্রই কেবল দেননি, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জিয়া ছাড়াও আর কারা কারা জড়িত তাদের নামও তার কাছে প্রকাশ করেন। কিন্তু ফলাফল এবারও একই। তবে বঙ্গবন্ধু জিয়াকে মার্চে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করেন এবং এটি নির্ধারিত হয় যে জিয়া কোনো একটি দেশে রাষ্ট্রদূত হয়ে চলে যাবেন। কিন্তু অত্যন্ত চাতুর্যের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার মাধ্যমে তার বদলির আদেশটি বাতিল করাতে সক্ষম হন জিয়া।