সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
স্বপ্ন পূরণে ভর্তি হয়েছেন উত্তরবঙ্গের বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভাব অনটনের সংসারে দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট আব্দুল আলিম। ছোটবেলায় মাকে হারিয়ে বাবার দিন মজুরির টাকায় চলে সংসার। অর্থাভাবে আব্দুল আলিমের ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার স্বপ্ন ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। অর্থের যোগান না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে আলিমের পরিবার।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের নন্দিগ্রামের হত-দরিদ্র কৃষক শরিফুল ইসলামের মেধাবী ছেলে আব্দুল আলিম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছেন ২০২২-২৩ সেশনে।
ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হওয়ায় গর্ববোধ করছেন বাবা ও পরিবারের লোকজন। কিন্তু অর্থ অভাবে পড়ালেখা অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়েছে আব্দুল আলিম। আলিমের বড় ভাই কোরআনে হাফেজ। বর্তমানে সেও টেকনিক্যাল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিবে।
আব্দুল আলিম এই প্রতিবেদককে বলেন, ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছি। ৫ম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ ও ট্যালেন্টপুল গ্রেডে বৃত্তি, ৮ম শ্রেণিতে গোল্ডেন এ প্লাস ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। এ ফলাফলের পেছনে সব বিদ্যাপিঠের শিক্ষকদের অবদান বেশি। বাবার উপার্জনকৃত সামান্য অর্থ আমার পড়াশোনার জন্য কখনোই যথেষ্ট ছিল না।
তাই পড়াশোনার পাশাপাশি আমাকেও বিভিন্ন সময় কাজ করতে হয়েছে। এতে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটলেও নিরুপায় ছিলাম। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় ইচ্ছা আমাকে কখনোই আমার স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। অবশেষে আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। আমার স্বপ্ন লেখাপড়া শেষে বিসিএস ক্যাডারে ম্যাজিস্ট্রেট হওয়া। এখন অর্থের অভাবে স্বপ্ন পূরণে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলিমের বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, সংসারে অভাব-অনটন থাকেলও কখনো ছেলেদের পড়াশোনা করার জন্য না করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়ার পরেও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে ছেলের লেখাপড়া নিয়মিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। তাই দেশের বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্য সহোযোগিতা কামনা করেন। সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ ডাচ বাংলা ব্যাংক (রাজশাহী নিউমার্কেট শাখা) একাউন্ট নম্বর ২০৫০২৭৯৬৭০০৩৬৫৮০১, বিকাশ নম্বর ০১৩০১৯৪৬৪০৮।