অলিম্পিকে নেতৃত্ব দিতে চায় স্বর্ণজয়ী মারিয়া

আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০১৬, ১১:৫৫ অপরাহ্ণ

শাহিনুল ইসলাম আশিক



বর্ষা খাতুন মারিয়ার বয়স মাত্র ১৭ বছর। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় বেশ আগ্রহ তার। এ খেলা ক্রিকেট বা ফুটবল নয়, খেলাটা হচ্ছে জুডো। ২০১১ সালে এ জুডো খেলা দিয়ে পথ চলা শুরু তার। প্রথম বছর সাফল্যের মুখ না দেখতে পেলেও পরে বছর থেকে আসতে শুরু করে সাফল্য। গত ২০১৪-১৬ সাল পর্যন্ত স্বর্ণজয়ী মারিয়া টানা চার বছরই জেলা জুডো প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে। স্বর্ণপদক ছিনিয়ে নিয়ে আসেন। শুধু তাই নয়, ৩য় জাতীয় মহিলা হকিতে রাজশাহীর হয়ে ঢাকাকে ৩-০ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোল দাতা হন মারিয়া।
শুধু খেলাধুলায় নয়, লেখাপড়াতেও বেশ ভালো মারিয়া। সে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। নগরীর শিরোইল কলোনীর হাজরাপুর এলাকার বাসিন্দা কাপড় ব্যবসায়ী ইব্রাহীম হোসেন তার পিতা এবং  মা গৃহিনী বিউটি বেগম। বাবা-মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে মারিয়া দ্বিতীয় ও তার ছোট বোন শামসুনাহার বৈশাখী (১০) এলাকার একটি স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে পড়ে।
২০১৫-১৬ সালের জেলা জুডো প্রতিযোগিয়তায় প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক লাভ করে মারিয়া। একই বছরে ১ম বিকেএসপি কাপ জুডো চ্যাম্পিয়ানশিপে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রৌপ্য-১৫। জেলা জুডো প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক পেয়েছেন। তার আগের বছর একই খেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক পেয়েছেন।
২০১৩ সালে একই খেলায় তৃতীয় স্থান ও কুস্তিতে তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ এবং তার আগের বছর দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন রৌপ্য লাভ করেন। এদিকে ৩৩তম জাতীয় জুডো প্রতিযোগিতায় ৪০ কেজি ওজনে তৃতীয় স্থান অধিকার করে ব্রোঞ্জ ও একই বছর বিকেএসপির জুডো প্রতিযোগিতায় সিলভার অর্জন করেন। ২০১৬ সালে স্থানীয় কুস্তি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। এছাড়া তার হকি, খেলাধুলা, বিকেএসপিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, অলিম্পিক ডে ত বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেন।
স্বর্ণজয়ী বর্ষা খাতুন মারিয়া বলেন, আমি দেশের জন্য কিছু করতে চায় খেলার মাধ্যমে। অলিম্পিকে বাংলাদেশের হয়ে নেতৃত্ব দিতে চাই। আপনাদের কাছে দোয়া কামনা করছি। তিনি বলেন, খেলার কোর্স আহসান কবির বাবু ভাই খেলার জন্য সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন।
এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান বলেন, মারিয়া খেলাধুলায় খুব ভালো করছে। আমাদের এখানে এমন একটা মেধাবী শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড় পড়াশোনা করছে এটা গর্বের বিষয়। তার খেলাধুলার বিষেয়ে আমাদের সাহায্য সব সময় থাকবে। আমাদের শিক্ষার্থী হিসেবে তার সাফল্য কামনা করি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ