সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
সব সংশয় দূর করে বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সাফল্যের ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী মুশফিকুর রহিম।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা সব সময় শুনে থাকি অস্ট্রেলিয়া আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে। আমরাও আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে ওদের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।’
এরপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো অসম্ভব কিছু নয়। সত্যি কথা বলতে, নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে আমরা বিশ্বের যে কোনও দলকে হারাতে পারব। কারণ আমাদের সে সামর্থ্য আছে।’
মুশফিকের আত্মবিশ্বাসে টগবগ করতে থাকার কারণও আছে। ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য। টেস্ট ক্রিকেটেও ক্রমেই উন্নতি করছে টাইগাররা। গত বছর ইংল্যান্ডের সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল মুশফিকের দল, মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অতিথিদের হারিয়ে দিয়েছিল ১০৮ রানে। ওই ম্যাচে তামিম ইকবালের চমৎকার সেঞ্চুরি আর মেহেদী হাসান মিরাজের ১২ উইকেট শিকারে গড়ে উঠেছিল জয়ের ভিত।
অথচ তখন অনেকেই ভেবেছিল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাত্তাই পাবে না বাংলাদেশ। এ বিষয়ে মুশফিকের ভাষ্য, ‘ইংল্যান্ড যখন আসে, তখন কিন্তু কেউ ভাবেনি যে আমরা ওদের সঙ্গে লড়াই করতে পারব। জয় তো অনেক দূরের কথা। গত দুই-তিন বছরে আমাদের দলে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার এসেছে। মূলত তারাই বড় দলগুলোর বিপক্ষে জয় পেতে অনুপ্রাণিত করছে আমাদের।’ সেই প্রেরণাই অস্ট্রেলিয়া সিরিজে কাজে লাগাতে চান টেস্ট অধিনায়ক, ‘আমাদের মধ্যে এখনও সেই আত্মবিশ্বাস আছে। আমাদের এখন শুধু পাঁচ দিন ধরে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে টাইগাররা যে প্রস্তুত, সে কথা জানিয়ে মুশফিকের মন্তব্য, ‘আমি সত্যিই আনন্দিত যে ওরা টেস্ট সিরিজ খেলতে আসছে। আর আমরাও সেজন্য প্রস্তুত। ওদের মোকাবেলা করার মতো প্রস্তুতি ভালোই হয়েছে আমাদের।’ অবশ্য একটা বিষয়ে তিনি কিছুটা চিন্তিত, ‘আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হলো, আমরা খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পাই না। তাই টেস্ট খেলার সময় একটু হলেও সমস্যা হয়।’
অবশ্য ব্যাটিংয়ে নিজেদের এগিয়ে রাখতে দ্বিধা করছেন না মুশফিক, ‘আমাদের ব্যাটিং ইউনিট বেশ কয়েকটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের চেয়ে ভালো। টেস্ট হোক বা অন্য ফরম্যাট, আমাদের প্রথম ৭ ব্যাটসম্যান দারুণ ধারাবাহিক। আমি তো মনে করি প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে যথেষ্ট উন্নতি করেছে, যা আমাদের লম্বা রেসের ঘোড়ায় পরিণত করেছে।’
ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিম ইকবালের প্রতি একটু বেশিই কৃতজ্ঞ বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক, ‘গত তিন-চার বছর ধরে সে যেভাবে ব্যাটিং করছে আর যেমন ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছে, বিশ্ব ক্রিকেটে এটা কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। তার মতো একজন খেলোয়াড়ের দলে থাকা আমাদের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা।’-বাংলা ট্রিবিউন