আউট সোর্সসিঙে অদক্ষ কর্মি দিয়ে চলছে পুঠিয়া হাসপাতালে জরুরি বিভাগ !

আপডেট: জুন ১, ২০২৪, ১০:০২ অপরাহ্ণ

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:


রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রোগী দেখেন আউট সোর্সসিং ও সেবা খাতের অদক্ষ ছেলে মেয়েরা। আর জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার জরুরি বিভাগে না বসে, বসে থাকেন ৯ নম্বর এসি রুমে। জরুরি কোনো রোগী এলে টিকিট নিয়ে যেতে হয় সেই এসি রুমে। এতে এই এলাকার রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া জরুরি বিভাগে অন্য কোনো হাসপাতালের ও ডাক্তারের চিকিৎসাপত্র নিয়ে ইনজেকশন দিতে আসলে দিয়ে দেওয়া হয় না। জরুরি কোনো রোগী হাসপাতালে আসলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

শনিবার (১ জুন) সকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ডা. সঙ্গীতা দোস্তাগীর কর্মরত আছেন। কিন্তু তিনি জরুরি বিভাগের রুমে উপস্থিত নাই। তিনি রয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে ৯ নম্বর এসি রুমে। তিনি রেস্টে থাকার কারণে রাসেল, বাবু, রিমন রহমান, মতিউর রহমান ও মোছা. আশা এই ৫ জন আউট সোর্সসিং ও সেবা খাতের অদক্ষ ছেলে মেয়ে জরুরি বিভাগে রোগীদের সেবা প্রদান করছেন। অদক্ষ আউট সোর্সসিং ও সেবা খাতের ছেলে মেয়েরা রোগীদের ইনজেকশন পুস করা, কাটা জায়গা সেলাই করা সহ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে।

কয়েকজন রোগী নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, আমরা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছি অথচ এই বিভাগে ডাক্তার নেই। আছে কয়েক জন ছেলে মেয়ে। তারা আমাদের নাম তালিকাভূক্ত করে। তারপর বলে ৯ নম্বর রুমে যান। সেখানে গিয়ে চিকিৎসাপত্র লিখে এনে ওষুধ বা ইনজেকশন আনা হলে অদক্ষ আউট সোর্সসিং ও সেবা খাতের এর ছেলে- মেয়েরা রোগীদের ইনজেকশন পুশ করা, কাটা জায়গা সেলাই করে দেন।

হাসপাতালে জরুরি বিভাগে থাকা আউট সোর্সসিং এর ছেলে মেয়েরা জানায়, এখানে ডা, সঙ্গীতা দোস্তাগীর কর্তব্যরত আছেন। তিনি ৯ নম্বর রুমে আছেন।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হাসান শাওন জানান, ডাক্তার সংকটের কারণে উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসারগণকে আউট ডোরে বসানো হয়েছে। যার কারণে জরুরি বিভাগে এই অবস্থা। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ