শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে দুই ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্বে মারপিটের ঘটনায় গত বুধবার থানায় একটি মামলা হয়।ওই মামলায় প্রধান আসামী নেট ব্যবসায়ী নুরনবী ইসলাম সাদ্দাম শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাস্থলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবী করছেন।।
এসময় উপস্থিত ছিলেন একই মামলার চার নাম্বার আসামী আবু কালামসহ স্থানীয়রা। মারপিটের ঘটনাটি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাকুরডারিয়া গ্রামে ঘটেছিল। ওই ঘটনায় ছাত্রদলের দুই নেতাসহ উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছিল।
মারপিটের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নুরনবী ইসলাম সাদ্দাম শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলেই একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিলকপুর নেটওয়ার্কের মালিক বেলাল হোসেনের কাছ থেকে চুক্তিতে ব্যান্ডউইথ নিয়ে আমি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। সে আমার ব্যবসার অর্ধেক এবং পরে সম্পূর্ণ মালিকানা দাবি করে। এতে আমি রাজি না হলে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়।
ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি এলাকায় একটি ফুটবল টুর্ণামেন্টে ফ্রি ইন্টারনেট সংযোগের ঘোষনা দিলে বেলাল আবারও তার বিরোধীতা করে। এই ঘটনার জের ধরে বেলাল হোসেন আমার সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে গ্রাহকের চাপে সেবা নিশ্চিতে রাজশাহী থেকে অন্য একটি কোম্পানীর ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছিলাম। আগে বেলালের তার থেকে সংযোগ নিলেও পরে আমি নিজস্ব তার কিনে সংযোগ সরবরাহ করতে থাকি। এরপর থেকে বেলাল আমাকে ব্যবসা বন্ধ ও মামলার হুমকি দিয়ে আসছিল।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) উভয়ের মধ্যে বসার কথা ছিল। ওই দিন বসার আগেই সে এসে আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আমার গলা চেপে ধরে। এঘটনায় পরে আমার অনুপস্থিতিতে চন্দনদিঘী বাজারে গ্রাম বাসিদের নিয়ে একটি সালিস হয়। সেখানে কোন সমাধান না হওয়াই বেলালসহ তার লোকজন ফেরার পথে পাকুরডারিয়া তিন মাথা মোড়ে এসে আবু কালামের দোকানে ক্যারম খেলা অবস্থায় মুমিনুল নামের এক ছেলে সড়কে ফেলে মারপিট করতে থাকে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে তারা তিনটি মোটরসাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। এতে রায়কালী ইউনিয়ন ছাত্র দলের সারধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ আহত হয়। তারপরও আমার নামে তারা মিথ্যা মামলা করেছে। বর্তমানে আমার ৭০ জন গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিষয়টি সমাধান করে সংযোগ দ্রুত চালু করতে হবে।
এ বিষয়ে বেলাল হোসেন বলেন, চন্দনদিঘী বাজারের সালিস থেকে ফেরার পথে পারিকল্পিতভাবে তারা আমাদের উপর হামলা করেছে। এতে আমার ভাই তিলকপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক বিশালসহ আমাদের ছয় জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আমার ভাই বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছে। আমি কোন সময় ব্যবসার মালিকানা দাবি করিনি। ঘটনার সময় সাদ্দাম উপস্থিত না থাকলেও হামলা তার নের্তৃত্বে হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, মারপিটের ঘটনায় বেলালের ভাই ওয়াজকুরুন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।