রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
গংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) অত্র জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে লফস সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে।
লফস মনে করে অত্র অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারনে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে।
বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়। আগস্ট মাসে অমানবিক কিছূ ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্র – তানোরে এক নারী স্বামী দ্বারা নির্যাতনের শিকার, নগরীতে এক গৃহবধূ স্বামী দ্বারা নির্যাতনের শিকার, বাগমারা উপজেলার বিলকুৎসা গ্রামে মনোয়ারা খাতুন (৩০) নামে এক নারী নির্যাতনের শিকার, পুঠিয়া উপজেলায় মাহিনা খাতুন (২০) নামে এক নারী নির্যাতনের শিকার,তানোর উপজেলায় এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার, তানোরে মা ও মেয়ে নির্যাতনের শিকার, পুঠিয়া উপজেলায় ফারজানা (১৫) নামে এক শিশু নির্যাতনের শিকার, বাঘায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে , নগরীতে আবদুল্লাহ (১০) নামে এক শিশু নিঁখোজ। ঘটনাগুলো সকলের জন্য উদ্বেগজনক।
লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক।
রাজশাহী অঞ্চলে নারী – শিশু নির্যাতন সহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানান।