আগামিতে ট্যাগিঙের রাজনীতি চলবে না: ছাত্র শিবির

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ৯:২৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


ইসলামী ছাত্রশিবির সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেছেন- বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে, ক্যাম্পাসের প্রতিটা রুমে-রুমে, প্রতিটা হলে-হলে হাজার হাজার গল্প লুকিয়ে আছে। আমরা বলতে চাই, ট্যাগিঙের রাজনীতি গত ১৫ বছর আওয়ামীলীগ ফ্যাসিজম কায়েমে সবচেয়ে বেশি করেছে। আমাদের দাবি আগামি দিনে কোন ধরনের ট্যাগিঙের রাজনীতি চলবে না।



রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটায় রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় ভিক্টোরিয়ার কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী অঞ্চল পশ্চিমের সাথী সামাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের ফ্যাসিজমের কায়েমে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সেটি হচ্ছে ট্যাগিঙের রাজনীতি। কথায় কথায় রাজাকার। যাকে রাজাকার বলা হয়েছে তার বাবার জন্ম হয়নি ৭১ সালে। সেই সন্তানকে আপনি রাজাকার বলেন। কথায় কথায় শিবির। কেমন শিবির, যে নামাজ পড়ে সে শিবির। সে দাঁড়ি রেখেছে সে শিবির, টাকনুর উপরে প্যান্ট পরে- এরজন্য সে শিবির। সে মেয়েদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করে না, সেজন্য শিবির। ছাত্র শিবিরকে তার ক্যাম্পাসে, ক্লাসে সবচেয়ে ভালো ছাত্র হতে হবে। তার পিতা-মাতার কাছে সবচেয়ে আদর্শবান সন্তান হতে হবে।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, কত নির্মম এই রাষ্ট্র। আমরা দেখেছি হরতাল চলাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে বিশ্বজিৎ নামের একজনকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মিডিয়াকর্মীদের সামনে, সারা বিশ্ব দিখেছে। তার অভিযোগ ছিল বিশ্বজিৎ শিবির হিন্দু শাখার সদস্য-কি হাস্যকর, কত নির্র্মম! আবরার ফাহাদ পানি সন্ত্রাস নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল। আজ পানি সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। অথচ আবরার ফাহাদকে সেদিন শিবির আখ্যা দিয়ে সাপের মত পিটিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। সর্বোচ্চ বিদ্যাপিটের চিত্র যদি হয় এই? এটা শুধু দুই একটা ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না।

তিনি আরও বলেন, আমরা কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। কেউ যদি আমাদের প্রতিপক্ষ বানায়। তাহলে তাদের প্রতি আমাদের একটা ম্যাসেজ। আদর্র্শকে কে আদর্শ দিয়ে মোকাবেলা করব। আদর্র্শকে ট্যাগিং বা কোন ধরনের প্রপাগান্ডা দিয়ে মোকাবেলা করতে আসবে না। মেহেরবানি করে কোন ধরনের ট্যাগিং, কোন ধরনের প্রপাকান্ডা, কোন ধরনের মিথ্যাচার দিতে আসবেন, তাদের আমরা ফ্যাসিজমের দোসর হিসেবে চিহ্নত করব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি সিফাত উল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, রাজশাহী মহানগর জামায়াত ইসলামের আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version