আজাদ কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন নিহত

আপডেট: মে ১৪, ২০২৪, ১:২৬ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকালে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের ছোড়া গুলিতে স্থানীয় তিন বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
কাশ্মীর টাইমস জানিয়েছে, সোমবার (১৩ মে) রাতে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের কাছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে রেঞ্জার্সদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় রেঞ্জার্সের ৩ সদস্যসহ ৮জন আহত হয়।

মুল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থেকে জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির (জেএএসি) নেতৃত্বে আজাদ কাশ্মীরের হাজার হাজার বাসিন্দা প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে আসছে। ৫ দিন ধরে চলা এ প্রতিবাদের মধ্যে এ পর্যন্ত জনের মৃত্যু হল।
প্রতিবাদকারীরা অভিজাত শ্রেণিকে দেয়া সুযোগ সুবিধাও প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছে।

পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার একেজে সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠকে ইসলামাবাদ সরকার একেজের জন্য আটা ও বিদ্যুতের মূল্যে ভর্তুকি দেয়ার জন্য ২৩শো কোটি রুপির প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এতেও তাৎক্ষণিভাবে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।
রাজ্যটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য রেঞ্জার্সদের মোতায়েন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার পর রেঞ্জার্সদের পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, তাদের খাইবার পাখতুখওয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম ব্রারকোট দিয়ে ফেরার কথা থাকলেও তারা কোহালা অঞ্চল দিয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫টি ট্রাকসহ রেঞ্জার্সদের ১৯টি গাড়ির বহর মুজাফফরাবাদের কাছে পৌঁছলে শোরান দা নাক্কা গ্রামের কাছে তাদের লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করা হয়।

এর জবাবে রেঞ্জার্সরা কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে ও গুলি করে। সামাজিক মাধ্যমে আসা একটি ভিডিওতে মুজাফফরাবাদ-ব্রারকোট সড়কে রেঞ্জার্সদের ৩টি গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

মুজাফফরাবাদ শহরের পশ্চিম দিকের বাইপাস দিয়ে রেঞ্জার্সরা নগরটিতে প্রবেশ করার পর আবারো পাথর বৃষ্টির মধ্যে পড়ে। এখানেও তারা কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার ও গুলি করে।

মুজাফফরাবাদের ডেপুটি কমিশনার নাদিম জানজুয়া জানিয়েছেন, গুলিতে ৩ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে আর আহতের সংখ্যা ৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (১১ মে) একেজের মিরপুরে সহিংসতা চলাকালে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিল। সোমবারে নিহতদের মধ্যে এক কিশোর রয়েছে বলে মুজাফফরাবাদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ