রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ ১১ ফেব্রয়ারি। নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস। বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস বা সেফার ইন্টারনেট ডে (এসআইডি) পালিত হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা, সৃজনশীলতা ও নিরাপদ থাকার লক্ষে প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করে ইনসেফ নেটওয়ার্ক।
২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেইফবর্ডার প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই দিবসটির যাত্রা শুরু। পরের বছর থেকে ইনসেইফ নেটওয়ার্ক দিবসটি উদযাপনের দায়িত্ব নেয়। এখন বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে দিবসটি পালিত হয়। তবে বাংলাদেশে এ দিবসটি পালনে কোনো আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় না।
সাইবার অপরাধ, ইন্টারনেট হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সচেতনতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে সংস্থাটি।
বর্তমানে বিশ্বের সকল দেশ ইন্টারনেট অপরাধে ভয়ংকরভাবে আক্রান্ত। এটি অপরাধের তালিকায় শীর্ষে স্থান পেয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশসহ প্রত্যেকটি দেশেই এ অপরাধ ঠেকাতে নতুন নতুন সাইবার আইনও হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা কিছুতেই যেন কমানো যাচ্ছেনা। পুলিশের আর্ন্তজাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেট অপরাধের কারণে শুধু ইউরোপে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় এক হাজার বিলিয়ন ডলার। প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে এক মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইন্টারনেট অপরাধের শিকার হন। বাংলাদেশও গত পাঁচ-ছয় বছরে ব্যাপকভাবে ইন্টারনেট অপরাধ বাড়ছে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হতে শুরু করে সরকারি ওয়েবসাইট, সাধারণ মানুষ, পর্ণোগ্রাফি, মাদক, ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন হতে শুরু করে বিভিন্নভাবে এ অপরাধের বিস্তৃতি ঘটেছে। এখন ভয় সর্বত্র ছড়ানো। অনলাইনে কেনাকাটার ভয়, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যোগ দিতে ভয় এবং ভয় দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহারেও। বিশেষজ্ঞদের আশংকা ইন্টারনেট অপরাধ ভবিষ্যতে আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাসবাদের দিকে যেতে থাকবে। এ জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রত্যেকটি দেশ। এক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে প্রথম। কিন্তু বাংলাদেশে এ সচেতনতা বাড়াতে কোনো পদক্ষেপ বা কর্মসূচী নেই। এ দিকে গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।