আজ ভোট

আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ

গণতন্ত্রের পথ নির্বিঘ্ন হোক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আজ। সারা দেশে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এই ভোট গ্রহণ চলবে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ২৮টি দল অংশগ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সব কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। তবুও ভোট নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে। সরকারের পদত্যাগ দাবি করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে অনড় অবস্থানে থেকে ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো। ভোট বর্জনে শনিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতালের কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। নির্বাচন প্রতিহত করতে দিয়ে নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫ জানুয়ারির রাতে রাজধানী কমলাপুর স্টেশনের অদূরে গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন অগ্নিদগ্ধ গয়ে মারা যান। এ ছাড়াও ভোটগ্রহণের আগের দিন মধ্যরাত থেকে দেশের দশ জেলায় ১৪টি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়ার খবর সংবাদ মাধ্যমে এসেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নানাভাবে দেশে ও বিদেশে বহুল আলোচিত বিষয়। ফলে নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোরও নজর থাকবে। বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুবই ন্যক্কারজনকভাবে বিদেশি হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা গেছে- যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নাক গলানোর নজিরবিহীন ঘটনা। দেশে অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে সুবিধা দিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের ওপর খবরদারি করার প্রয়াস চালিয়েছে। তারা নানাভাবে ভোটকে প্রভাবিত করতে চায়।
এমনই পরিস্থিতিতে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে। কিন্তু ভোট শুরুর আগে নাশকতা ও সন্ত্রাসী ঘটনা সংঘটিত করে ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে দেয়া চেষ্টা স্পষ্ট। তবে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশের মানুষের চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর যারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে তার সাথে জনমানুষের মোটেও সমর্থন নেই। গেল অক্টোবরের পর থেকে আজ-অবধি অবরোধ- হরতাল কর্মসূরি নামে ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে কিন্তু দেশের মানুষ কোনোভাবেই তা সমর্থন করেনি। তার বড় প্রমাণ হলোÑ কোনো অবরোধ বা হরতাল সফল করা সম্ভব হয়নি। দেশের সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে সন্ত্রাস-নাশকতাকেই সম্বল করে ভোট প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। তদুপরি ভোটগ্রহণ বন্ধ করা যে যাবে না সেটা খুবই স্পষ্ট হয়েছে। এখন ভীতি ও আতঙ্কের মধ্যে কী পরিমাণ ভোটের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সেটাই এখন মূলত বিবেচ্য ব্যাপার। তবে দেশের বিভিন্ন আসনে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা লক্ষ্য করা গেছে। ফলে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে আসা বন্ধ করা যাবে বলে মনে হয় না। ভালোর পথ যত কঠিন ও দুঃসাধ্য হোক না কেনÑ মানব সভ্যতা ইতিহাস হলো এসব কিছু অতিক্রম করে ভালো কিছুকেই সমুন্নত রাখতে হয়। বাংলাদেশ সেই ভালো অতিক্রমে সফল হবে এই প্রত্যাশাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ