আজ মহান বিজয় দিবস, প্রত্যয় হোক সম্প্রীতি ও শান্তির বাংলাদেশ গড়ার

আপডেট: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ণ

আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশ বিজয় অর্জনের তেপান্ন বছর পূর্ণ করে আজ চুয়ান্ন বছরে পড়লো। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা পৃথক জাতিসত্তায় বিশ্ব মানচিত্রে সগৌরবে স্থান করে নেয়। বিজয়ের এ পথ-পরিক্রমা যেমন রক্তাক্ত ছিল, তেমনি বিশ্ব মানচিত্রে আলাদা একটি অবস্থান তৈরিও সহজ ছিল না। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই জাতিকে একটি জনযুদ্ধের সূচনা করতে হয়েছে। অনেক মূল্য দিয়ে প্রিয় স্বাধীনতাকে অর্জন করতে হয়েছে। মহত্তর এই দিনে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধে শহিদ অগণতি সূর্যসন্তানদের, অনেক শ্রদ্ধা মুক্তিযুদ্ধকালীন নির্যাতিত বীরঙ্গনাদের প্রতি এবং সশ্রদ্ধ সালাম জানাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। যাঁদের ত্যাগ ও শৌর্যবীর্যে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ।
বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ জাতীয় জীবনে তো বটেই তৎকালীন বিশ্ব প্রেক্ষাপটেই একটি তাৎপর্যময় ঘটনা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতি সংগ্রামে-ঐতিহ্যে বিশ্ব দরবারে আজ দীপ্যমান। মুক্তিযুদ্ধ যুগ যুগ ধরে জাতিকে সাহস যোগাবে, ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি লড়াই-সংগ্রামে দেশ জাতি নির্বিশেষে সকলকে অনুপ্রাণিত করবে, উৎসাহ যোগাবে।
মহান বিজয় দিবসে জাতির অতীত ইতিহাস, গৌরবগাথা এবং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে মূল্যবোধ আমরা অর্জন করেছি, সম্মিলিতভাবে তা আমাদের জাতীয় উত্তরাধিকার, এটি অবশ্যই স্মরণে রাখতে হবে। এই মূল্যবোধের ধারা এগিয়ে নিতে হলে এ বিজয় দিবসে এই সংকল্প দৃঢ়ভাবে গঠিত হোক একটি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার মধ্য দিয়েই আমরা ব্যধিগ্রস্ত সামাজিক অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে পারি। এর জন্য মুক্তিযদ্ধের চেতনার প্রতি সশ্রদ্ধ মনোভাব পোষণ করতে হবে। সম্প্রীতি ও শান্তির সমর্থনেই আমাদের দেশ গড়ার শপথ নিতে হবে।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা দেশবাসীকে, পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ