রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:
ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ নাশকতাকারীর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক শফিক ছোটনকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য তাকে লাঞ্ছিত করেন।
লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরা নুরুল ইসলাম নামের একজন নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল পরিচয় দিয়ে সাংবাদিক ছোটনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার হাত থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। সাংবাদিক ছোটন যমুনা টিভির নওগাঁ জেলার স্টাফ রির্পোটার ও নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। এঘটনার পর সাংবাদিকসহ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সান্তাহার রেলওয়ে থানার একের পর এক অপ্রীতিকর ও বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাটেরর পাঁচবিবি স্টেশনে আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর কিছুদিন পর ১৫ ডিসেম্বর জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে উত্তরা মেইল ট্রেনে আবারো অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই দুটি ঘটনায় সান্তাহার রেলওয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতভর জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাশকতার সাথে জড়িত থাকার অুিভযোগে নিশির মোড় এলাকার বনোমালিপাড়ার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে তাইজুল ইসলাম (২৬), একই এলাকার মো. ওয়াদুদের ছেলে মো. অপু (২১) এবং আক্কেলপুরের বসন্তপুর গ্রামের মো. রাজুর ছেলে আব্দুল মমিন (২১) গ্রেপ্তার করে। নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারের খবর জানতে পেরে সাংবাদিক শফিক ছোটন তথ্য সংগ্রহ করতে থানায় যায়। এরপর তথ্য না দিয়ে উল্টো তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
ঘটনার পর স্থানীয় সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানালে জিআরপি থানার ওসি মোক্তার হোসেন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নুরুল ইসলামকে পাকশী পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে শুক্রবার দুপুরে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।