নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ২৯ তারিখ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় জনসভা। জনসভাকে সামনে রেখে রাজশাহী নগর ও জেলা আওয়ামী লীগ ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে প্রস্তুতি ও উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই বিভাগের অন্য জেলাগুলোতেও। প্রতিটি জেলাতেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যাপক প্রচারণা চলাচ্ছেন। সমাবেশে নৌকার বহর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে সচেষ্ট নেতারা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে তাই নিজেদের তুলে ধরতে সকল নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জেলাগুলো থেকে রাজশাহীমুখি মানুষের বহর প্রস্তুত করা হচ্ছে। ২৮ জানুয়ারিতেই এসব বহর মাদ্রাসামাঠে পৌঁছাবে বলে জানাচ্ছেন জেলার নেতারা।
রাজশাহী, নাওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি জেলা থেকে ট্রেন, বাস, মটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে নেতা-কর্মীরা জনসভায় যোগ দিবেন। সমাবেশের আগের দিনই অনেক নেতা-কর্মী রাজশাহীতে অবস্থান নিবেন। এজন্য যাবতীয় প্রস্তুতি তারা নিচ্ছেন। কতটি গাড়ি রাজশাহীতে আসবে সেটারও তালিকা করা হয়েছে। জেলার নেতারা উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন। সমাবেশের আগেই যেন নেতা-কর্মীদের বহর নিয়ে রাজশাহী শহরে সকলে প্রবেশ করতে পারে সে লক্ষ্যে যাবতীয় পরিকল্পনা তারা নিয়েছেন।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল জানান, সমাবেশকে সামনে রেখে অন্যান্য জেলার নেতাদের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ হচ্ছে। রাজশাহীর বাইরে থেকে যারা আসবেন, তাদের জন্য সর্বোচ্চটা করার প্রচেষ্টা রয়েছে। এছাড়া সমাবেশ উপলক্ষে মাদ্রাসা মাঠসহ যে ১২ টি পয়েন্টে ডিজিটাল মনিটরের মাধ্যমে লাইভ দেখানো হবে সেখানকার জন্য ৫ শতাধিক স্বেচ্ছাবেসী কাজ করবে। নির্বিঘেœ যেন মানুষ আসতে পারে ও সমাবেশ সফল করতে পারে যে লক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতিই নেয়া হয়েছে।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান সোনার দেশকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস ও আনন্দের জোয়ার বইছে। জনসভাকে সফল করতে প্রতিটি উপজেলা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং থানা কমিটির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। নাটোর থেকে চারটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নলডাঙ্গা, মাধনগন, নাটোর, মালঞ্চি, আব্দুলপুর থেকে ওই ট্রেনে লোক যাবেন। এছাড়া জেলা, ৭টি উপজেলা, ৮টি পৌর ও ৫২টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সমাবেশে আসবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান সোনার দেশকে জানান, এই আগমনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এলক্ষ্যে নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট উপজেলা থেকে শতাধিক বাসে নেতাকর্মীরা সভায় যোগ দিবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি ভালোই। বাস, ট্রেন, ছাড়াও বিভিন্ন যানবাহনে করে রাজশাহীর জনসভায় যোগ দিবেন নেতাকর্মীরা।
জয়পুরহাট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সোনার দেশকে বলেন, সমাবেশকে সামনে রেখে তারাও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাদের ৩২ টি ইউনিয়ন থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ৩২ টি বাস যাবে, পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১০ টি বাস যাবে। এছাড়া সংসদ সদস্যসহ সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে হাইসগাড়িতে নেতারা আসবেন। এছাড়া ট্রেন যোগে ৪ হাজারের অধিক নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন।
অন্যান্য জেলার নেতারাও বাস, ট্রেন, হাইস প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলযোগে নেতা-কর্মীদের বহর নিয়ে সমাবেশে আসবেন বলে জানান।