আত্রাইয়ে আমন ধানে বাম্পার ফলনের আশা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪, ৯:১৯ অপরাহ্ণ

তপন কুমার সরকার, আত্রাই


নওগাঁর আত্রাইয়ে বিভিন্ন মাঠ থেকে বন্যার পানি কমে যাওয়ায় মাঠজুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ ধানের ক্ষেত। যে দিকেই চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। চারিদিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। প্রোখোর রোদ-বৃষ্টির খেলায় সবুজের আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধানের সবুজপাতা, আর কৃষকের মন।



সবুজ ঘেরা রোপা আমনের মাঠ দেখে বারবার থমকে দাঁড়ায় পথিক। আর কিছু দিনের মধ্যেই সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করে ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য গোলা। সেইসাথে আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটে উঠবে হাসি।

জানা যায়, এবার উপজেলায় ৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বলে কৃষি অফিস জানান। বন্যা আতঙ্কের কারণে আমন চাষে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে এবার।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে শাহাগোলা, মনিয়ারী ও ভোঁপাড়া ইউনিয়নে সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়নের উঁচু জমিগুলোতে আমন ধানের চাষ করেন কৃষকরা। এসব এলাকার মাঠগুলোতে চাষকৃত আমন ধানের মধ্যে পাইজাম, জিরাসাইল, ব্রি-২৯সহ উচ্চ ফলনশীল অনেক জাতের হাইব্রিড ধানের চাষও হয়ে থাকে। এর সাথে গত কয়েক বছর থেকে যোগ হয়েছে সু-ঘ্র্যাণের চিনিআতপ। এদিকে মৌসুমের শুরুর দিকে অতি বর্ষণ ও রক্তদহ বিলের পানিতে শাহাগোলা, মনিয়ারী ও ভোঁপাড়া ইউনিয়নে বিভিন্ন মাঠ পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে হাজার হাজার কৃষকদের মাঝে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। সম্প্রতি এসব মাঠ থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ওই কৃষকদের মাঝে বইছে আনন্দের ঢেউ। তারা পুরোদমে আমন চাষে মাঠে নেমেছেন।

উপজেলার তিলাবদুরী গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন, মাঠ থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় তারা পুরোদমে আমন ধানের চাষে নেমেছেন।

সাহেবগঞ্জ ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের আমন চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও সরকারিভাবে প্রণোদনা দেয়া হয়। সেইসাথে অল্প খরচে অধিক ফলন যাতে কৃষক পান সেজন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।#