মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
আত্রাই(নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কৈ মাছ ও কাপ পিরিচ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়। এঘটনায় মামলা রজু করে আত্রাই থানা পুলিশ আট জনকে গ্রেফতার করে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার দীঘা গ্রামের শহিদুর ইসলাম (৬২), মনিরুজ্জামান রনি (৩৮), জগদিসপুর গ্রামের জিহাদ (২২) এবং সাহেবগঞ্জ গ্রামের কামনা আক্তার (২৮)।
আটক রাব্বি হোসেন, শহীদ হোসেন, আশিক হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, রফিক হোসেন, মোজাফ্ফর হোসেন, হাফিজ ও শহীদকে শনিবার নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও প্রত্যক্ষদশী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৪ মে) দিবাগত রাত সোয়া ১১ টায় উপজেলার জয়সাড়া গ্রামে কৈ মাছ ও কাপ পিরিচ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এতে কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থীর ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম, ভাতিজা মনিরুজ্জামান রনি ও সমর্থক জিহাদ আহত হন। একই ঘটনায় কাপ-পিরিচ প্রতীক প্রার্থীর বৌমা কামনা আক্তারও আহত হন। আহতরা আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার লুৎফা খাতুন জানান, ২৪ মে দিবাগত রাত্রি ১ টায় চারজন সামান্য জখম হয়ে হাসপাতালে আসলে তাদের চিকিৎসা দিই।
এদিকে দিঘা গ্রামের সাজেদুর রহমান বাদি হয়ে রাত সাড়ে ১২ টায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ঘটনার সময় রাত সাড়ে ৭টা উল্লেখ করলেও প্রকৃতপক্ষে ঘটনা ঘটে রাত সোয়া ১১ টার পর। এদিকে রাত ১১ টায় ঘটনার স্থানে কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থীর ভাই ও ভাকিজা উপস্থিত থাকায় নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সচেতন ভোটারেরা অভিযোগ করেন।
কাপ পিরিচ প্রতীকের-প্রার্থী মমতাজ বেগম বলেন, কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থীর ভাই ও ভাতিজা আমার ভোটারকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছে এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়েছে।
আত্রাই থানা তদন্ত ওসি লুৎফর রহমান বলেন, সাদা কারে করে মানুষ অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে কারসহ ৮ জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তবে গাড়িতে কোনো অপহরণকারী পাওয়া যায়নি। পরে সাজেদুর রহমান বাদি হয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা ও মারধরের অভিযোগ করলে তাদের আটক দেখানো হয়।