আদালতের দুপুরে খালেদার চা-বিস্কুট, তারপর হৈ চৈ

আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০১৭, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক



জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুপুরের খাবার সেরেছেন চা আর বিস্কুট দিয়ে, যা নিয়ে পরে আদালতে হৈ চৈ করেছেন তার আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদার অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপনের দিন ছিল। আর এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আসামিপক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থন শুরুর কথা ছিল।
বিএনপি চেয়ারপারন খালেদা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে পৌঁছালে প্রথমে দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। তার আবেদনে বিচারক বাকি বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ১২ জানুয়ারি নতুন তারিখ রেখে অন্য মামলার কার্যক্রম শুরু করেন।
খালেদার আইনজীবীরা এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নতুন করে প্রথম তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন করলে দুদকের আইনজীবী এর বিরোধিতা করেন। এরপর বেলা পৌনে ২টায় আদালত শুনানি মুলতবি রেখে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায়।
বিরতিতে এজলাস কক্ষে বসেই চা-বিস্কুট খান খালেদা জিয়া। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, রুহুল কবীর রিজভীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা এজলাসের বাইরে গিয়ে তাদের জন্য আনা সিঙ্গারা আর রুটি-কলা খান।
বেলা আড়াইটার দিকে বিচারক এজলাসে এলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল শুরু হয়। তারা বলতে থাকেন, অসুস্থ খালেদা জিয়া দুপুরের খাবার বা ওষুধ খেতে পারেননি, দুপুরে তার নামাজও পড়া হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষে এ সময় বলা হয়, বিচারক তো খাবার জন্য সময় দিয়েছেন। আর খালেদা জিয়াতো সবার সামনেই খেয়েছেন। এ নিয়ে হৈ চৈ করার কিছু নেই।
একপর্যায়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবী হোসেন আলী খান হাসান টেবিল চাপড়াতে থাকেন। খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ সময় বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, “উনার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে আজ যে আচরণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত অমানবিক। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রায়ের আগেই তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এ ধরনের আচরণ ঠিক নয়। আপনি (বিচারক) এটা করতে পারেন না।” এরপর জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিচারক জানতে চান, বিএনপির ওই আইনজীবী টেবিলে থাপ্পড় দিলেন কেন, এর অর্থ কী। এরপর ওই আইনজীবীকে ক্ষমা চাইতে বলেন বিচারক। ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। পরে বিএনপিপন্থি জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং সেই আইনজীবী দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।
শুনানি শেষে আদালত এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে ১২ জানুয়ারি দিন রাখেন।- বিডিনিউজ