বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর বদলগাছীতে সহকারী জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা চিঠি পেয়ে বাদীর গভীর নলকূপ ঘরে তালা ঝুলিয়ে দখল করে নেওয়ায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিবাদীরা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ বাদীর। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার কোলা ইউপির শ্যামাহার মৌজায়।
কোলা গ্রামের সুজাউল ইসলাম কুদ্দুস বলেন, ২০১২ সালে শ্যামাহার মৌজায় গভীর নলকূপ স্থাপন করে বোরো মৌসুমে সেচ পরিচালনা করে আসছি। গতবছর বোরো মৌসুমের আগে আমার গভীর নলকূপ থেকে ৫০ গজ দুরে কেশাইল গ্রামের আবুল হাসনাত চৌধুরী জোরপূর্বক নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন করে আমার স্কীম দখলের চেষ্টা করে।
বাঁধা দিলে আমাকে মেরে ফেলা হুমকি দেয়। আমি নওগাঁ সহকারী জজ আদালতে মামলা করি। মামলা চলমান রয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি বিবাদী আদালতের নিষেধাজ্ঞা চিঠি পেয়ে রাতে আমার গভীর নলকূপ ঘরে হামলা করে আমাদের বের করে দেয় এবং আমাদের চাবি কেড়ে নিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় । বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন আগে থানায় সালিশ হয়।
আবুল হাসনাত জানান, আমি জোর করে গভীর নলকূপ বসায়নি। ১৯৯১ সালে আমার গভীর নলকূপ বসানো আছে। ক্রুটিজনিত কারণে বন্ধ ছিল। গতবছর আমি মেরামত করেছি। সুজাউল ইসলাম আমার স্কীমে গভীর নলকুপ বসিয়েছে।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রকালে দেখা যায় সুজাউলের গভীর নলকূপ ঘরে দরজায় দুটি তালা ঝুলছে। এই স্কীমের আওতাভুক্ত কৃষক আবদুল মজিদ জানায় সত্য কথা বললে বন্ধু ব্যাজার হবে। আবুল হাসনাত চৌধুরীর গভীর নলকূপ ছিল সেখানে অনেক আগে। ২০০১ সালের দিকে গভীর নলকূপ তুলে বিক্রি করেছে। তাদের ৪/৫ টি গভীর নলকূপ ছিল সব তুলে বিক্রি করে। গত বছর চৌধুরী নতুন করে গভীর নলকূপ বসান। গভীর নলকূপ ঘরের আগে পিছে অনেক কৃষক বোরো ধান রোপন করছিল।
উপজেলা বরেন্দ্র প্রকৌশল অধিদফতরে খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালে সুজাউল ইসলামকে উপজেলা সেচ কমিটির পক্ষ থেকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। তাকে বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমতি দিয়েছে। বরেন্দ্র অফিসের এস ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২০২২ সালে সুজাউল ইসলামকে সেচ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তখন তদন্ত করে আশে পাশে কোন গভীর নলকূপ ছিল না।
বরেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রকৌশলী ইন্তেখাপ আলম জানান, আমি একটি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। এ মহুর্তে কিছু মনে পড়ছে না। আমি সঠিক তথ্য জেনে জানাতে পারবো।