সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর প্রতিনিধি :আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে শহরের সড়ক ও জনপথ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারীদের দায়ী করেছেন আহত ওই বিএনপি নেতা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আহতকে দলীয় নেতা কর্মীরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে পুলিশ সেখানে যায়ার আগেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টা গুরুত্বের সাথে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
জানা গেছে, বুধবার নাটোর জজকোর্টে একটি মামলায় হাজিরা দিতে যান বিএনপি নেতা ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন। হাজিরা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শহরের ফুলবাগান সড়ক জনপদ অফিসের সামনে পৌঁছালে প্রথমে একদল দুর্বৃত্ত প্রাইভেটকার দিয়ে তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির (ভারপ্রাপ্ত) আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘বুধবার সকালে নাটোর জজকোর্টে একটি মামলায় হাজিরা দিতে যান ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন। হাজিরা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শহরের ফুলবাগান সড়ক জনপদ অফিসের সামনে পৌঁছালে প্রথমে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রাইভেটকার দিয়ে তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয়।’ এ ছাড়া তার পায়ে গুলি করার অভিযোগও করেন তিনি।
আহত ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন বলেন, ‘এমপি শিমুলের কর্মী হিসেবে পরিচিত কোয়েল, কুত্তা সেলিম, সজীব, প্রিন্সসহ তার সহযোগীরা প্রথমে গাড়ি দিয়ে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পরে পিটিয়ে জখম করে মৃত মনে করে চলে যায়।’ এ বিয়ে জানতে অভিযুক্ত কোয়েলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায়া যায়।
এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তিনি বলেন, ‘রোজার দিনে একজন মানুষকে কটু কথা বলাও নিষেধ। সেখানে শাহীনকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের কাছে কেউ নিরাপদ না। এ ঘটনার বিচার চেয়ে কোন লাভ নেই, তাই বিচার আল্লাহর কাছে দিলাম।’