মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
মো. মনিরুল ইসলাম নাচোল চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
আধুনিক প্রযুক্তিতে বস্তায় চাইনা আদা চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের রাণী ইলামিত্র স্মৃতি বিজড়িত জায়গা ঘাষুড়া গ্রামের নাসির উদ্দিন।
কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় পরিত্যক্ত স্থানে এ চাষাবাদে ব্যাপক লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষক নাসির উদ্দিন। নাচোলের বিভিন্ন গ্রামে পরিত্যক্ত জমিতে কিংবা বাড়ির আঙিনায় এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি বস্তায় আদার চাষাবাদ।
ইতোমধ্যে প্রতিটি বস্তায় আদা গাছ তরতর করে বেড়ে উঠছে। সবুজ পাতায় ভরে গেছে প্রতিটি গাছ। এর নিচে ধরেছে প্রচুর পরিমাণ আদা। নতুন পদ্ধতির এ চাষাবাদ প্রথম বছরেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ চাষাবাদ ঘিরে আগামীতে ব্যাপক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা।
কৃষক নাসির উদ্দিন বলেন, তার বাড়ির পাশে পুকুরের পাড়ে আম বাগানে পতিত স্থানে ১হাজার বস্তায় আদা চাষাবাদ করেছেন। তরতাজা আদা গাছের চেহারা দেখে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থান থেকে দেখতে আসছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রকল্পের আওতায় এই মসলা চাষাবাদে আমাকে সবকিছু ফ্রি দেয়া হয়েছে। আদা রোপণ, পরিচর্চা থেকে শুরু করে সবকিছু কৃষি কর্মকতারা নিয়মিত তদারকি করছেন। ১হাজার বস্তা আদা চাষে যদি সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে তুলতে পারি, এখান থেকে প্রায় ৪লক্ষ টাকার আদা হবে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি।
নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাড়ে ৫ হাজার বস্তায় চাইনা আদা চাষাবাদ হয়েছে। আদা চাযে স্বল্প খরচে ১বিঘা জমিতে ২ লক্ষ টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন মসলার উন্নতজাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের আদা চাষাবাদে বীজসহ সকল উপকরণ দেয়া হয়েছে। ফলে কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে চাষাবাদ করছেন।
কৃষকরা এই আদা সারাবছর নিজেদের সংসারের চাহিদা মিটিয়েও বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। ইতোমধ্যে এ চাষাবাদের ব্যাপক লাভের সম্ভাবনা দেখা যাওয়ায় উপজেলা জুড়ে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আশা করছি সামনে মৌসুমে এ চাষাবাদ কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে।