সোনার দেশ ডেস্ক :
চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসার ছুটি বহাল থাকছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আপিল না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে নাকি বন্ধ সেই সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলেছেন। এর মধ্যে বুধবার ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের সরকারি ছুটি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বুধবার থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে। এরমধ্যে যদি আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হয় তবে বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি। এক্ষেত্রে হাইকোর্টের কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ তাপমাত্রার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। যেখানে যদি আবহাওয়ার স্বাভাবিক হয় তবে আদালতের আপত্তি থাকার কথা নয়। এজন্য বুধবার পর্যন্ত আবহাওয়ার পরিস্থিতি আমরা দেখতে চাই।
রমজান, ঈদুল ফিতর ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সাতদিনসহ মোট ১ মাস ৩ দিনের ছুটি শেষে রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছিল। কিন্তু অনেক জায়গায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় যেসব এলাকায় গরমের তীব্রতা বেশি সেসব এলাকার মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর মঙ্গলবার নতুন করে ২৭ জেলার স্কুল-মাদ্রাসা একদিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গত সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আপিল করার কথা জানান। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সোমবার আদেশে আদালত বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে বলেও জানান এ আইনজীবী।- ঢাকা পোস্ট