মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শহীদ শরিফুজ্জামান নোমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ সাব্বির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে রাবি শিবিরের সভাপতি আব্দুল মোহাইমেনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক এবং রাবি শাখার সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফেজ নুরুজ্জামান বলেন, শহীদ আবরার ফাহাদ ছিলেন একটি প্রতিবাদী চেতনার নাম। দেশসেরা ক্যাম্পাসে পড়েও তিনি ছিলেন ধর্মপালনে প্রত্যয়ী একজন মানুষ। তাই তাকে ছাত্রলীগ পাশবিক কায়দায় নির্যাতন করে হত্যা করে। কিন্তু তাকে হত্যা করে বাংলাদেশী মুসলিম প্রতিবাদী সত্তাকে তারা বিনষ্ট করতে পারেনি।
সভাপতির বক্তব্যে রাবি শিবির সভাপতি আব্দুল মোহাইমেন বলেন, আবরার ফাহাদ একটি চেতনার নাম। তিনি ভারতীয় বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, ৫ বছর পর চব্বিশের বিপ্লবে এসে সেটি পূর্ণতা পেয়েছে। তাঁর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। রক্তাক্ত জুলাইয়ে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা হাজার হাজার মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করে নতজানু, তাঁবেদার আওয়ামী সরকারকে টেনে-হিচরে গদি থেকে নামিয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা মসনদ ছেড়ে পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছে। তাই শহীদ আবরার ফাহাদকে বলা যায়, জুলাই বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপনকারী।
তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেমিক ও ধর্মপরায়ণ জাতির এই মেধাবী সন্তানকে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করেছে। শুধু আবরার ফাহাদ নয়, সারা দেশের প্রত্যেকটি ক্যাম্পাসে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং ইসলাম পালন করার কারণে অসংখ্য শিবির কর্মী এবং ধর্মপ্রাণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যা করেছে ছাত্রলীগ। তাই সময়ের দাবী, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা।
আলোচনা শেষে আবরার ফাহাদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে প্রোগ্রাম শেষ হয়। এসময় রাবি শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধ-শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।