বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
প্রধান বিদ্যুৎকেন্দ্র বিকল হয়ে পড়ায় আবারও দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটের শিকার হলো কিউবা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বিকল হয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাখো মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে এদিন সন্ধ্যার দিকে দেশের সর্বোচ্চ চাহিদার প্রায় এক ষষ্ঠমাংশ পূরণের জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুত উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
ন্যাশনাল ইলেকট্রিক ইউনিয়ন (ইউএনই) বলেছে, সন্ধ্যার মধ্যে তারা ৫৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। তবে এটি দেশের সাধারণত নৈশ্যভোজের সময়ের চাহিদার মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার একটি ভগ্নাংশ মাত্র। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ক্যারিবীয় এই দ্বীপের অধিকাংশ কিউবান অন্ধকারে রয়ে গেছেন।
এর আগে, কমিউনিস্ট সরকার বলেছিল, তারা হাসপাতাল ও পানি পাম্পিং সুবিধাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল ও অপ্রয়োজনীয় সরকারি পরিষেবা বন্ধ ছিল।
বুধবার গভীর রাতে রাজধানী হাভানার বিভিন্ন অংশে আলো জ্বলে উঠে। স্থানীয় বৈদ্যুতিক সংস্থা জানিয়েছে, ২ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎসেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
কিউবার পুরানো ও ক্রমবর্ধমান দুর্বল বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার কারণে দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটের সিরিজের সর্বশেষ ঘটনা এটি। চলতি বছর জ্বালানীর ঘাটতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কিউবার বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রায় সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়েছিল।
কয়েক মাস ধরে দীর্ঘ ব্ল্যাকআউটের শিকার হচ্ছে দেশটি। গত বৃহস্পতিবার কিউবার প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎখাতে ‘জরুরী অবস্থা’ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ভেনিজুয়েলা, রাশিয়া ও মেক্সিকো থেকে তেলের আমদানি হ্রাস এই দ্বীপের অপ্রচলিত ও তেল-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে কয়েক মাস আগে সম্পূর্ণ সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
ঘণ্টাব্যাপী একের পর এক ব্ল্যাকআউট এবং খাদ্য, ওষুধ ও পানির তীব্র ঘাটতি অনেক কিউবানদের জীবনকে ক্রমবর্ধমানভাবে অসহনীয় করে তুলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেকর্ড মাত্রায় দ্বীপ ছেড়ে পালিয়েছেন বাসিন্দারা।
দেশের এই সংকটের জন্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করে কিউবা। কেননা, এই নিষেধাজ্ঞা আর্থিক লেনদেন ও জ্বালানি আমদানিকে জটিল করে তোলে।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন