সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
কদিনে বড় নাটকই হয়ে গেল আইসিসিতে। গত ১৫ মার্চ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আইসিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন শশাঙ্ক মনোহর। আইসিসি গতকাল এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বদলেছেন সাবেক বিসিসিআই সভাপতি।
২০১৬ সালের মে মাসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসির প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন মনোহর। দুই বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হলেও এক বছর না পেরোতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন মনোহর। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘পরিচালনা পর্ষদের চাওয়া এবং আমার প্রতি যে আস্থা রেখেছে সেটিকে সম্মান জানাই। তবে ব্যক্তিগত কারণে যে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেটা বদলাব না। আইসিসির চলমান বিষয়গুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমি চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক।’
প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে বেশ কিছু বড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে হয়েছিল আইসিসির সভা। পাশাপাশি তিন সংস্করণের ক্রিকেটকেই আরও আকর্ষণীয় করার জন্য বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব আনা হয়েছে। বেশির ভাগ পরিবর্তনের পক্ষেই নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আরও পরিমার্জনার পর সেগুলো আগামী ২৩ এপ্রিলে আইসিসির পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এরই মধ্যে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা আইসিসির অনেক প্রস্তাব মানে না।
মনোহর জানিয়েছেন, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে আইসিসি যে পরিবর্তন আনার কথা বলছে, এটির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তিনি আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চান। মনোহরের ফিরে আসাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, ‘ক্রিকেটের বৃহৎ স্বার্থে তাঁকে আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে আমাদের প্রয়োজন, বিশেষ করে এমন কঠিন সময়ে। আমাদের পূর্ণ সমর্থনের ব্যাপারে তিনি আশ্বস্ত থাকতে পারেন।’
পদত্যাগ করার আগে বিসিসিআইয়ের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মনোহর। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে নিয়োগ পাওয়া বিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধি বিক্রম লিমায়ে বলেছেন, ‘সবার সন্তুষ্টির জন্যই বর্তমান বিষয়গুলোর সমাধান হওয়া জরুরি। সম্প্রতি মনোহরের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন নিয়ে বিসিসিআই যে উদ্বিগ্ন, সেটা তাঁকে জানিয়েছিলাম। আমাদের পরামর্শ ছিল এ বিষয়গুলোর সমাধান করা। এসব বিষয়ে একটি সন্তোষজনক সমাধানে আইসিসির সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতবদ্ধ।’ সূত্র: আইসিসি,প্রথম আলো অনলাইন।