মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
প্রাথমিক গণপ্রস্তাব ও রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করলেও ব্যবসায়িক দুরবস্থায় ভুগছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ার। এদিকে, কোম্পানিটিকে নতুন করে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
জানা যায়, বিএসইসির ৫৯৪তম কমিশন সভায় ছয় প্রতিষ্ঠানের কাছে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে ৩১২ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা উত্তোলন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিডি লিমিটেডকে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা মূল্যে ৩১ কোটি ২৮ লাখ ৮ হাজার ৮০০ টি শেয়ার ছাড়বে।
অনুমোদন দেয়া কোম্পানিসমূহ এবং ইস্যুকৃত শেয়ার হলো-
১. সুইফট এয়ার কার্গোর বোয়িং এমডি-৮৩ এর এয়ারক্রাফ্টের বিপরীতে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৮ হাজার ৮০০ শেয়ার। যার বাজার দর হবে ৫২ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
২. স্ট্রিলিং এরোস্পেস লিমিটেডের এয়ারবাস এ-৩৪০-৩১৩ এয়ারক্রাফ্টের বিপরীতে ৫ কোটি ২০ লাখ শেয়ার। যার বাজার দর হবে ৫২ কোটি টাকা।
৩. সিঙ্গাপুরের এ-সনিক এভিয়েশন সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেডের বোয়িং এমডি-৮৩ এর বিপরীতে ৫ কোটি ২০ লাখ শেয়ার। যার বাজার দর হবে ৫২ কোটি টাকা।
৪. সিঙ্গাপুরের আর্কটিক টার্ন এভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের এটিআর ৭২-৫০০ এর বিপরীতে ৫ কোটি ২০ লাখ শেয়ার। যার বাজার দর হবে ৫২ কোটি টাকা।
৫. মালয়েশিয়ার ফিনিক্স এয়ারক্রাফট ইনভেস্টমেন্ট (লাবুয়ান) বিডিএইচ এর এটিআর ৭২-৫০০ এর বিপরীতে ৫ কোটি ২০ লাখ শেয়ার। যার বাজার দর হবে ৫২ কোটি টাকা।
৬. সিঙ্গাপুরের ব্ল্যাক ট্রান্সটোন এভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের এর এটিআর ৭২-৫০০ এর বিপরীতে ৫ কোটি ২০ লাখ শেয়ার। যার বাজার দর হবে ৫২ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। এরপর ২০১১ সালে পুনরায় রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে টাকা উত্তোলন করে। কিন্তু ব্যবসায়িক দুরবস্থায় ২০১৫ সালে কোম্পানিটি কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সম্প্রতি কোম্পানিটির ফ্লাইট ৬ মাস যাবৎ বন্ধ থাকায় গত ৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।