নিজস্ব প্রতিবেদক:বহুল অপেক্ষার পর নদীপথে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরো সহজ করতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি চালু হয় সুলতানগঞ্জ-ময়া আন্তর্জাতিক নৌ-রুট। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ ঘাটে ওইদিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই নৌরুটের উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। পদ্মার ওপারে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা থানার ময়ায় একইদিন রুটটির উদ্বোধন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সম্ভাবনাময় নৌ-বাণিজ্যের এ পথ পরিক্ষামূলক যাত্রায় পদ্মায় নাব্য সংকটে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। তবে অতি-শিগগিরই এ সমস্যা দূরীকরণের বিষয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উদ্বোধনের পর তিনটি ট্রায়াল রান হয়েছে। মোট ৫ টি ট্রায়াল রানের পর নিয়মিত হবে আমদানি-রপ্তানি। রাজশাহী অংশে ১৭ কিলোমিটার রয়েছে এই নৌ-রুট। এরমধ্যে ১ থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকায় নাব্যতা সমস্যা রয়েছে। আর এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে চলাচল।
তথ্য বলছে, পর্যাপ্ত পানিপ্রবাহ না থাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে নদীতে আটকা পড়ে আছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী পাথরবোঝাই জাহাজ ‘এমভি আতিয়া’। ভারত থেকে আমদানি করা প্রায় দুইশো টন পাথর নিয়ে ওইদিন সকাল ১০টায় ময়া নদীবন্দর ছেড়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরে আসার কথা ছিল জাহাজটির। কিন্তু সুলতানগঞ্জ নৌঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাকিমপুরে পদ্মার চরে আটকা পড়ে এমভি আতিয়া। এতে বিপাকে পড়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার অংশে পানির গভীরতা কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। তবে এরইমধ্যে তিনটি ট্রায়াল ভালোভাবেই দেয়া সম্ভব হয়েছে। এখন যেহেতু কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, তাই ড্রেজিঙের বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এরইমধ্যে ভারতকে ড্রেজিঙের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। দুই দেশ সমন্বয় করে ড্রেজিঙের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যেখানে ভারত ৮০ শতাংশ ও বাংলাদেশ ২০ শতাংশ ব্যয় বহন করবে। সিরাজগঞ্জ নৌ-রুটেও এভাবেই ড্রেজিং কাজ হয়েছিলো। ড্রেজিং হয়ে গেলে কোনো সমস্যা থাকবে না।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক মু. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে এটা বলা যাবে না। কিছু সমস্যা হচ্ছে। এতে কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে অতি-শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।