আমে পচন রোগ, দুশ্চিন্তায় চাষিরা

আপডেট: জুন ২, ২০২৪, ৮:৪০ অপরাহ্ণ


পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:


রাজশাহীর পুঠিয়ায় চলতি মৌসুমের শুরুতে অনুকূল আবহাওয়ায় আমবাগানে গত বছরের চেয়ে এবছর এমনিতেই কম পরিমাণ আম ধরেছে। তবে সম্প্রতি তীব্র খরা ও পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমের ফলনে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা চাষিদের।

গত কয়েক বছর থেকে এই অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়ার বিরাজ করায় চাষিরা বিভিন্ন ধান, গমসহ ফসল উৎপাদন করে লোকসানের মুখে পড়ছেন। যার কারণে তারা স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় ফসলি জমিগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ রোপণ করছেন।

স্থানীয় চাষিরা বলছেন, গত বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এ বছর বেশির ভাগ আম বাগানে মুকুল হয়নি। আবার মৌসুমের শুরু থেকে কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মুকুল ও কুঁড়িগুলো শুকিয়ে ঝরে যায়। তার ওপর এবার মাত্রাতিরিক্ত দাবদাহ হওয়ায় অনেক বাগানের আমে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। চাষিরা ফেটে যাওয়া ও পচন রোধে বিভিন্ন প্রতিরোধক ব্যবহার করেও পর্যাপ্ত সুফল পাচ্ছে না।

উপজেলায় কর্মরত গোলাম সাকলাইন স্মৃতি জানায়, আম সাধারণত দুটি কারণে পচন ধরতে পারে। একটি হচ্ছে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে ; অপরটি হলো আম ছিদ্রকারী মাছি পোকার কারণে হতে পারে। তবে না দেখে বলা যাবে না।

বাগানমালিক মনিরুল ইসলাম বলেন, এবার বৃষ্টিপাত কম। তার ওপর এখন অনেক তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর নতুন ও পুরাতন মিলে প্রায় ১ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। গত মৌসুমে এই এলাকায় আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮ হাজার ৫৬৪ মেট্রিক টন এবং উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার মেট্রিক টন আম। তবে এ বছরে মাত্র ১০ হাজার ৮৫০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মৌসুমের শুরু থেকে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম। যার কারণে তাপমাত্রাও অনেক বেশি হয়েছে। এতে করে আম বিভিন্ন ফসলের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বাগানগুলোতে রোগবালাই কমাতে সঠিক মাত্রায় স্প্রে করলে পচন ও পোকামাকড় থেকে অনেক অংশে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ