সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কা-ারি রেজাউল আহসান সান্টু বিছানাগত। তিনি চোখে একেবারে দেখতে পান না। তিনি থাকেন বাটার গলিতে। অকৃতদার সান্টুর পৈত্রিক বাড়ি রাণীবাজার বাটার গলিতে। রেজাউল আহসান সান্টু ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের পক্ষে কাজ করেন। এই একনিষ্ঠ কর্মীর দক্ষতা এবং নিষ্ঠায় মুগ্ধ ছিলেন কামারুজ্জামান। ওই নির্বাচনে কাজের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার পদার্পণ। নির্বাচনের পর শহিদ কামারুজ্জামান তাকে গণকপাড়ায় একটি হোটেল করে দেন। হোটেলটি নগরবাসীর অতি পরিচিত হোটেল পূর্বরাগ। নতুন রাস্তায় ভাঙা পড়ে হোটেলটি।
রেজাউল আহসান সান্টুর জন্ম ১৯৫৩ সালে। পাঁচ ভাই ও চার বোনের সবার বড় তিনি। বাবা ছিলেন স্কুল ইন্সপেক্টর। তিনি লেখাপড়া বেশি করতে পারেন নি। সংসারের দায় দায়িত্ব পালনের কারণে নিজের সংসার করে ওঠার সময় পান নি। এক রকম ভাই বোনদের মানুষ করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। বিনয়ী, শান্ত, নির্লোভ মানুষটি নিজের জন্য কিছু করেন নি। নিজের জন্য কিছু না করাটা শুধু সংসারে নয়। এটা পরিবারের বাইরে রাজনৈতিক জীবনেও সত্য।
সম্প্রতি তিনি বলছিলেন, তার রাজনৈতিক জীবনের সহকর্মীদের কথা। তারা অনেকেই রয়েছেন বড় বড় অবস্থানে। কেউ তার কথা মনে রাখেনি। তবে তাদের কেউ কেউ এখনও তার খোঁজ রাখেন। এক সময় আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলের দুঃসময়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন বলে জানান তিনি। কেউ তাঁকে দেখতে গেলে তিনি খুশি হন। স্মৃৃতিচারণ করেন সেই সময়ের। এখন সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকেন। প্রাকৃতিক কাজগুলি বিছানাতেই সারতে হয়। তাকে দেখাশুনা করেন তার এক ছোট ভাই ও তার স্ত্রী। তিনি সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী।