শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে নগরীর শিরোইল কলোনি এলাকার ২ নম্বর গলি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে কামরুল ইসলামের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কামরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। ২০ বছর ধরে তিনি রাজশাহী নগরীর শিরোইল কলোনি এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ওইখান থেকেই তিনি ব্যবসা করে সংসার নির্বাহ করতেন। রেলওয়ের ঠিকাদারির কাজও রয়েছে তার।
মাইক্রোবাসে কামরুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান, নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বুধবার দুপুরে তার ঢালাইয়ের দোকানে ছিলেন। এসময় একটি মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তাকে উদ্ধারের তৎপরতা চলছে।
কামরুল ইসলামের কর্মচারী জয় হোসেন জানান, দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে কামরুল ভাই দোকানে ছিলেন। এসময় একটি জলপাই রঙের মাইক্রোবাসে কয়েকজন লোক এসে করে তাকে ডেকে দোকানের বাহিরে নিয়ে যান। কামরুল ইসলাম দোকান থেকে বের হওয়া মাত্র তাকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। জলপাই রঙের ওই মাইক্রোবাসটিতে সাতজন লোক ছিলো বলেও দাবি করেন কর্মচারী জয়। তবে কাউকেই তিনি চিনতে পারেননি। ওই সাতজনের মধ্যে চারজন মাইক্রোবাস থেকে নিচে নেমে আসে। বাকি তিন জন মাইক্রোবাসের ভিতরে বসে ছিলেন বলে জানান জয়।
বোয়ালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম বাদশা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রাথমিক অবস্থায় প্রযুক্তি দিয়ে তার অবস্থান জানান চেষ্টা করছি।