শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাজারে সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে বেড়েছে আলুসহ সকল সবজির দাম। একই সাথে বেড়েছে মুরগী ও মাছের দাম। এছাড়াও বাজারে পুরনো পেঁয়াজ না পেলেও নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজিতে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন দাম দেখা গেছে। এই সপ্তাহে দেখা গেছে, নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। বৃহস্পতিবারও এই আলু বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা। এছাড়া পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে আলু বিক্রি হয়েছে পুরনো আলু বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ সপ্তার ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। এছাড়া বেড়েছে বেগুন, সীম, ফুলকপি ছাড়াও ব্রয়লার ও সোনালী মুরগি দাম।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এখন সবজির ভরা মৌসুম। তবুও দাম কমেনি। কিছুদিন আগে ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। কিন্তু এই সপ্তায় এসে ফুলকপি কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুন এ সপ্তায় বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।
অপরদিকে, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এদিন বেশির ভাগ মানুষ পুরো সপ্তার বাজার করে থাকে। তাই বাজারে চাপ বেশি থাকার সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন।
সাহেববাজারের সবজি বিক্রেতা শুভ জানান, পুরানো আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০ টাকা। আর নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০ টাকায়। এছাড়া সজনার ডাটা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০০ টাকা, বাধাকপি প্রতিপিস ৩০ টাকা, ৪০ টাকা কেজির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। শশা প্রতিকেজি ৬০ টাকা, মূলা ২০ টাকা হলেও ব্রকলি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা প্রতিপিস দরে।
অপরদিকে, প্রতিহালি কলা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, সিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা ও ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় দেশি পেয়াজের দাম কম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
রাজশাহীর বাজারে প্রতিকেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকা, কই ৫৫০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ৩০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা ও শিং ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
হাইব্রিড সোনালী প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, অর্জিনাল সোনালী ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি মুরগি ৪৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা, পাতিহাঁস ৪২০ টাকা, রাজহাঁস ৬০০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০ টাকা ও বড় ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে।