আহত, নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ৮:৩৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেছেন, আহত, নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। রাষ্ট্র্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। পাশাপাশি আন্দোলনের সময়ে নিহত যাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি, তাদের নাম দ্রুত সময়ের মধ্যে এন্ট্রি করতে হবে। বিশেষজ্ঞ টিম দ্বারা ফিল্ডওয়ার্ক করে বেওয়াারশ শহিদদের তথ্য বের করতে হবে। তা না হলে আমাদের এই আন্দোলন, বিপ্লবের ইতিহাস মুছে যেতে সময় লাগবে না।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টাায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে রাজশাহী জেলার শহিদ ও আহত পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় এই সমন্বয়ক বলেন, রাজশাহীতে দুইটি শহিদ পরিবার আছে। আমি বলতে চাই, তারা যথেষ্ট পরিমাণ ভাগ্যবান। কথা শুনতে খারাপ লাগলেও এটাও সত্য। অসংখ্য লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। আর কোন দিন পাওয়া যাবে কিনা এখনও অনিশ্চিত। টিএসটিতে যে পরিবারগুলো আমাদের কাছে আসে তাদের হারানো সদস্যদের খুঁজে দেওয়ার দাবি জানাতে। তারা প্রতিটি মর্গে মর্গে ঘুরেছে কিন্তু কোথাও স্বজনের লাশ পায়নি।

তিনি বলেন, আমি, রিফাত রশিদ, আব্দুল হান্নান মাসুদসহ চারজন সমন্বয়ক মিলে ২৬ জুলাই উত্তরা হাসপাতালে ভিজিটে গিয়েছিলাম। কারণ আপনারা জানেন, ওই সময়ে (আন্দোলনের সময়ে) প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেল। তারপরে কিন্তু মূল প্রতিরোধ তারাই করেছিল। তার পাশাপশি ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা, মাদ্রাসার ছাত্ররা ছিল। তারা কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কার লড়াইটা করেছে। আমরা উত্তরায় যায়, যাওয়ার পরে সেখানকার একটা বড় হাসপাতালে ঢুকে তথ্য জানতে পারি ৩২ শহিদ তাদের মরদেহ বের হয়েছে। কিন্তু রেজিস্ট্রি করা আছে ১১ জনের নাম। এখন আমার প্রশ্ন হলো- বাকি ২১ জনের লাশ কোথায়। যারা এই সমস্ত কর্মকাণ্ড করেছে তাদের বিচার হতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কুবরাতুল আইন কানিজ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মেহেদী সহ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, বিইউপি, এনএসইউ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩২ জন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী জেলার আন্দোলনে আহত ১২০ জন আন্দোলনকারী এবং নিহত দুই সদস্যের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের প্রতিনিধি দল ৫ আগস্ট রাজশাহীর ছাত্র আন্দোলনে নিহত আলী রায়হানের কবর জিয়ারত করেন। পরে তার পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেন। এরপর দুপুরে নগরীর টিকাপাড়া কবরস্থানে শহীদ সাকিব আঞ্জুমের কবর জিয়ারত করেন। তালাইমারীতে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন তারা। এসময় শহীদদের শোকসন্ত্রস্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন সমন্বয়করা। বিকাল ৪ টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের খোঁজ খবর নেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ