মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
বাঘা প্রতিনিধি
বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড পিয়াদাপাড়া মহল্লার বাসন্তী পাল (৬০)। রোববার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ঠিক সাড়ে ১০টার দিকে কে যেন তার দরজায় কড়া নাড়ছে। ভয়ে সে অনেকটায় জড়সড়। রাতে কেউ তাকে ডাকার কথা নয়। তারপরও শীতের রাতে অনেকটায় আতঙ্ক নিয়ে বিছানা ছেড়ে দরজা খুলেই সে হতবাক।
তার সামনে মাথায় টুপি, গায়ে জ্যাকেট জড়িয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। হাতে কম্বল। তিনি প্রথমে চিনতে পারেন নি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক হোসেন। তাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন, তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি আড়ানী পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলী। এই সময় বাসন্তী পালের হাতে একটি কম্বল তুলে দেন মেয়র। কম্বল হাতে পেয়েই মেয়রের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন তিনি। আর বলেন, বাবা হাজার বছর বেঁচে থাকো। আরো অনেক মানুষের খেদমত যেন করতে পারো, সৃষ্টিকর্তা যেন সেই তৌফিক তোমাকে দেন। শুধু বাসন্তীই নয়, আঞ্জুয়ারা বেগম, শুকুর আলীর মতো আরো অনেক ব্যক্তির বাড়ির দরজায় গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তুলে শীতের কম্বল দেন মেয়র মুক্তার আলী।
মেয়র মুক্তার আলী নির্দেশে কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, জিল্লুর রহমান সরদার, আবদুল আওয়াল, মোজাম্মেল হক রাজ, আসাদুজ্জামান রানা, আবদুস সালাম, মানিক হোসেন, কার্তিক চন্দ্র হালদার, লিটন হোসেন পৌনে তিন’শ গরীব-দুস্থ মানুষের ঘরে ঘরে কম্বল বিতরণ করেন।
আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী বলেন, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে পৌনে তিন’শ গরীব-দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র দেয়া হয়েছে। কাউন্সিলরদের দিয়ে প্রকৃত দুস্থদের তালিকা তৈরি করে নিজে গিয়ে কম্বল পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও নিজ নিজ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর তাদের তালিকা মতো কম্বল বিতরণ করেন।