নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের অনুসারীরা পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে একটি বাড়িতেও।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় পারিলা বাজারে এই সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে পারিলা ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মুরাদ একহাতে রামদা এবং আরেক হাতে পিস্তল নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহতরা। এসময় বেশকিছু বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট চলাকালে লাইনের ছবি উঠানোকে কেন্দ্র করে রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের পক্ষের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এমপি আয়েন উদ্দিনের পক্ষের নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে তা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়।
এসময় এমপি আয়েনপন্থী হিসেবে পরিচিত শ্রমিকলীগ নেতা মেহেদী হাসান একহাতে রামদা আরেক হাতে পিস্তল নিয়ে বিজয়ী আসাদের পক্ষের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে আসাদের পক্ষের দুই কর্মী আহত হন। পরে আসাদ সমর্থকরা একত্রিত হয়ে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যান।
এর রেশ ধরে সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে আয়েন গ্রুপের নেতাকর্মীরা আসাদের সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় দুই গ্রুপের প্রায় আটজন আহত হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনকে বেশ কয়েকবার কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমি প্রশাসনকে বলেছি অপরাধী যেই হোক তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য। এছাড়া, আমি তাদের সাথে বসেছি, এই ঘটনা আর বাড়বে না।
পবা থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।