শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
সারা বিশ্বে আগের দুই বছরের তুলনায় ২০২২-২৩ সালে সাংবাদিকদের হত্যার সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় বিচার হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো)। শনিবার (২ নভেম্বর) ইউনেস্কোর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত দুই বছরে বিশ্বে গড়ে প্রতি চার দিনে একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে খুন হয়েছেন ১৬২ জন সাংবাদিক। এই সংখ্যা আগের দুই বছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। একে ‘উদ্বেগজনক’ বলেছে ইউনেস্কো।
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক আদ্রে আজুলে বলেছেন, ‘২০২২-২৩ সালে শুধু সত্য অনুসন্ধানে নিজেদের মহাগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতি চার দিনে একজন সাংবাদিক খুন হয়েছেন।’
‘সাংবাদিক হত্যার মতো অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধে’ আরও বেশি উদ্যোগ নিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার জাতিসংঘ-স্বীকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা অবসানের আন্তর্জাতিক দিবস।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক খুন হয়েছেন লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে, ২ বছরে ৬১ জন। আর উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপ সবচেয়ে কম ছয়জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের পর ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো নিহত সাংবাদিকদের একটি বড় অংশ যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারিয়েছেন। ওই বছর খুন হয়েছেন ৪৪ জন সাংবাদিক যা মোট হত্যাকাণ্ডের ৫৯ শতাংশ।
২০২২-২৩ সালে নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ১৪ জন নারী, যা মোট মৃত্যুর ৯ শতাংশ। তাদের মধ্যে অন্তত ৫ জনের বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
সাংবাদিক খুনের প্রায় সব ঘটনাই বিচারহীন থেকে গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮৫ শতাংশ মামলাতেই কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়নি বা পরিত্যক্ত হয়েছে।
এছাড়া গত দুই বছরে যুদ্ধের খবর করতে গিয়ে নিহতদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই স্থানীয় সাংবাদিক। ২০২৩ সালে ফিলিস্তিনে কর্মরত অবস্থায় ২৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে যা সবচেয়ে বেশি।
যদিও প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের সাংবাদিক মৃত্যুর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা, ইসরায়েল এবং লেবাননে নিহত সাংবাদিকদের সংখ্যা ১৩৫ জন ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন