নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ইদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখনও রাজশাহী মহানগরীতে ইদের আমেজ বিরাজ করছে। ফিরে আসেনি স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য। রাস্তায় নেই যানজট, মানুষের ভীড় ও ভোগান্তি।
সোমবার সকাল থেকে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার, লক্ষীপুর কোর্ট, রেলগেট, নিউমার্কেট, নওদাপাড়া, ভদ্রা, তালাইমারী, কাজলা ও বিনোদপুর ঘুরে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল খুবই কম। অনেক বিপণিবিতান এখনও বন্ধ লক্ষ্য করা গেছে। সড়কের পাশের কিছু দোকানপাট খুলেছে। তবে সেগুলো প্রায় ক্রেতাশূন্য।
অফিস-আদালতসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ছুটির আমেজ দেখা গেছে। বেসরকারি চাকরিজীবী সাদিয়া আফরিন বলেন, এবার ইদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি ছিল বেশ বড়। তাই বেশিদিন গ্রামের বাড়িতে পরিবার-পরিজনের সাথে ছুটি কাটানো হয়েছে। ছুটি বেশি থাকায় ঐচ্ছিক ছুটি বেশি নেওয়া হয়নি। তাই অফিসে চলে এসেছি।
এবার ইদের ছুটি ছিল তুলনামূলক দীর্ঘ। ইদের আগে ৭ এপ্রিল ছিল পবিত্র শবে কদরের ছুটি। এর আগের দুই দিন শুক্র ও শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে উদ্যাপিত হয় ইদুল ফিতর। ইদ উপলক্ষে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) সরকারি ছুটি ছিল।
১৩ এপ্রিল শনিবার ছিলো সাপ্তাহিক-ছুটি। পরদিন রোববার (১৪ এপ্রিল) ছিলো ১লা বৈশাখে’র ছুটি। অনেকেই মাঝ-খানে ছুটি নিয়েছেন। এভাবে টানা ১০ দিনের ছুটিও মিলিয়েছেন অনেকে।
ইদে প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নগরবাসীর একটি বড় অংশ গ্রামে যায়। তাই ইদের সময় প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। ছুটির এই সময়ে ছিল না মানুষের কোলাহল ও চাপ।
কয়েকজন কর্মজীবী বলেন, ইদের আমেজ কাটিয়ে পুরোপুরি স্বরূপে ফিরতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে কার্যক্রম।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২১ এপ্রিল। তবে সোমবার বেসরকারি অনেক বিদ্যালয় খোলা পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতও দেখা গেছে।