ইদের বাজার জমে উঠেছে শিশুদের পদচারণায়

আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২৫, ১১:২৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


ইদের আনন্দ অন্য সবার চেয়ে বেশি শিশুদের। তাই ইদের কেনাকাটার শুরুতেই তাদের আবদার মেটাতে অভিভাবকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বিপনীবিতানগুলোতে বাবা-মায়ের হাত ধরে কেনাকাটা করতে আসতে দেখা যায় শিশুদের। তবে ভিড় এড়াতে অনেক অভিভাবকই ইদের কেনাকাটা আগে থেকেই সেরে নিচ্ছেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজশাহীর সাহেব বাজারের কাপড়ের দোকানগুলোতে কেনা-কাটায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে- শিশুদের অভিভাবকদের। তবে শিশুদের অভিভাবকদের দাবি- দোকানগুলোতে বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে পোশাকের। তবে ভিন্ন কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন- দাম মোটামোটি সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। তবে ক্রেতা কম বাজারে।

এদিকে, রঙ-বেরঙের পোশাকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো। ইদকে রঙিন করে তুলতে নগরীর বিভিন্ন বিপণীবিতানে শিশুদের জন্য বাহারি পোশাকের সমাহারে সেজেছে। ইদ সামনে রেখে এবার শিশুদের পোশাকেও এসেছে বৈচিত্র। দোকানগুলোতে মেয়ে শিশুদের জন্য এবার লং ফ্রক, কটন ফ্রক, ডিভাইডার শর্ট স্কার্টের কদর বেশি। আর ছেলে শিশুদের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি সেট, থ্রি কোয়ার্টার, শর্ট প্যান্ট, ফুল প্যান্ট নিয়ে প্রস্তুত দোকানিরা।

শিশুর পোশাক কিনতে আসা শিরিনা বেগম বলেন, পোশাকের দাম বেশি চাচ্ছেন দোকানিরা। ছোট শিশুর পাঞ্জাবি তারা বিক্রি করছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। তাও আবার নরমাল, সাদামাটা। প্রায় সব দোকানেই একই দাম চাওয়া হচ্ছে।

সুমন ইসলাম বলেন, বড়দের চেয়ে ছোটদের পোশাকের দাম বেশি। মেয়ের জন্য লং ফ্রক কিনলাম ৯০০ টাকায়। দোকানদার প্রথমে দাম চাচ্ছিল ১৫০০ টাকা। পরে ৯০০ টাকায় দেয়। সবমিলে বাজারে পোশাকের দাম বেশি মনে হচ্ছে।

তবে শুরুর দিকে ক্রেতা সমাগম তেমন না থাকলেও ইদ যতো এগিয়ে আসবে বিক্রি ততো বাড়বে-এমনটাই প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
কাপড় ব্যবসায়ী অনিক ইসলাম বলেন, বিক্রি নেই বললেই চলে। ১৫ রোজা চলে গেল; তবুও সেইভাবে বিক্রি শুরু হয়নি। বিগত বছরগুলোতো এই সময় রাত দুইটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে গিয়েছি। কিন্তু বর্তমানে রাত ১২ টার দিকে দোকান বন্ধ করে চলে যেতে হচ্ছে। কারণ ক্রেতা কম। আশা করছি- কয়েকদিনের মধ্যে ক্রেতা বাড়বে দোকানগুলোতে। তখন বিক্রিও বাড়বে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version