মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে সাগরতলে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১শ’ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩ মিনিটে সুমাত্রা দ্বীপের উত্তর-পূর্ব উপকূলে সাগরতলের এ ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে আহত হয়েছে আরও আনেক মানুষ। আচেহর ঘরবাড়ির ধ্বংস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে।
আচেহ প্রদেশের সরকার এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা ৯৩ এবং আহতের সংখ্যা ৫শ’ জনেরও বেশি বলে জানিয়েছে। আহতদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর।
ওদিকে, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলছে, নিহতের সংখ্যা ৯৪।
অন্যদিকে, স্থানীয় সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি নিহতের সংখ্য ৯৭ উল্লেখ করেছে। টিভি তে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে আচেহ এর সামরিক প্রধান তাতাং সুলাইমান বলেন, “এ পর্যন্ত ৯৭ জন নিহত হয়েছে এবং এ সংখ্যা বাড়ছে।”
“এখন উদ্ধারকাজেই মনোনিবেশ করা হচ্ছে। জীবিতদের সন্ধান চলছে”, বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাটির কর্মকর্তা সুতোপো নুগ্রোহ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উদ্ধার তৎপরতায় জড়িত আছে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ। আচেহ প্রদেশে জরুরি অবস্থাও জারি রয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে কোনও সুনামির আশঙ্কা নেই বলে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে।
এক যুগ আগে ২০০৪ সালে ৯.২ মাত্রার প্রলয়ঙ্করী এক ভূমিকম্প ও সুনামিতে ভারত মহাসাগরের ঊপকূলে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য দেশের অনেক জনপদ ভেসে যায়। শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই এক লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি উপকূলে সাগরতলের ১৭ দশমিক দুই কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পিদি জায়া জেলার ডেপুটি জেলা প্রধান সাইদ মুলিয়াদি জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।- বিডিনিউজ