প্রথম দিনেই জমজমাট ইফতারি বিক্রি, বাড়তি দাম

আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:সংযম ও ত্যাগের মাসে নগরীর প্রতিটি অলিগলি, মোড়ে মোড়ে থেকে শুরু করে হাট-বাজারে জমে উঠছে ইফতার বিক্রি। রোজার প্রথমদিনে দুপুর থেকে শুরু হয় ইফতারি বিক্রির প্রস্তুতি। তিনটা থেকে ইফতারি বিক্রি শুরু হয়। চলে ইফতারের আগ মুহূর্ত।

নামিদামি ইফতার পণ্যের দোকানগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের ইফতারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এবার ইফতার আয়োজনে নতুনত্বের ছোঁয়া থাকলেও দাম গত বছরের থেকে অনেক বেশি। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে ইফতার সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

তবে প্রতিবারের মতো এবারও রাজশাহীতে ইফতার বাজার নামকরা হোটেল-রেস্তোরাঁর দখলে রয়েছে। পাশাপাশি সড়কের পাশে মৌসুমী দোকানিরাও ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন। তবে খেজুর, পেয়ারা, পেঁপে, কলা, কমলা, আপেল, মালটা, বরই ও তরমুজের দখলে রয়েছে বাজার।

নগরীর সাহেববাজার, লক্ষীপুর, রেলগেট, কোর্ট স্টেশন, হড়গ্রাম, কাশিয়াডাঙ্গা, তেরখাদিয়া, উপশহর, শিরোইল, ভদ্রা, তালাইমারী, কাজলা ও বিনোদপুরের আশপাশের বিভিন্ন এলাকার হোটেল-রেস্তোরা থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানে ইফতারি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রেস্তোরা ও হোটেলগুলো ইফতারি বিক্রির জন্য অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। রেস্তোরার সামনে বাহারি ইফতার সনামগ্রী সাজিয়ে রাখা ছিল বিক্রির জন্য। যেখানে ছোলা, বুট, মুড়ি, পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ডিম চপ, দই বড়া, ডাবলির ঘুঘনি, মিষ্টি, শাহী হালিম, গরু-মুরগি-খাসির হালিম, কাবাব, সবজি পাকোড়া, মাংসের চপের পাশাপাশি অনেকে তাদের নিজস্ব বিশেষ আয়োজনসহ মুখরোচক নানা ইফতার পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছিল বিক্রেতারা।

কিছু রেস্তোরাঁয় খুচরা ইফতার বিক্রির পাশাপাশি বেসিক, প্লাটিনাম, প্রিমিয়ামসহ নানান নামে প্যাকেজ ইফতারি বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর সাহেববাজার এলাকায় কথা হয় শিক্ষক জহুরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, গেল বছরের তুলনায় এ বছরের ইফতারের দাম বেড়েছে। তারপরও আমাদের কিনতে হচ্ছে। পেঁয়াজু থেকে বেগুনি সবকিছুর দাম বেড়েছে।

অতিথি রেস্তোরাঁর সত্ত্বাধিকারী আইনুল হক বলেন, প্রতি বছরের মতো ইফতারি বিক্রি হচ্ছে। ইফতারিতে এখানে কাচ্চি বিরিয়ানি, মোরগ পোলাও, তেহেরি, রোস্ট,চিকেন বারবিকিউ, বোরহানি, ফিরনি, হালিম, চিকেন কাবাবসহ বিভিন্ন আইটেম ইফতারি বিক্রি করে থাকি। সুস্বাদু খাবারের কারণে বেঁচাবিক্রিও বেশি। এবার রোজার আগে থেকে সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আমাদের দাম বেশি নেওয়া লাগছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ