ইরাকের আদালতে নিহত আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির স্ত্রী আসমার মৃত্যুদন্ড!

আপডেট: জুলাই ১১, ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


আমেরিকার সেনা অভিযানে নিহত আইএস (ইসলামিক স্টেট) নেতা আবু বকর আল বাগদাদির স্ত্রী আসমা ফাওজি মহম্মদ আল-কুবায়সির মৃত্যুদন্ডের সাজা হল। বুধবার (১০ জুলাই) ইরাকের একটি আদালত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে তাঁকে প্রাণদন্ড দিয়েছে বলে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি।

বাগদাদির ‘প্রথম স্ত্রী’ আসমা আইএসের অন্দরে উম্মে হুদাইফা নামে পরিচিত। রানিয়া মেহমুদ তাঁর আর এক ছদ্মনাম। বাগদাদির মৃত্যুর আগেই ২০১৮ সালের জুন মাসে সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা হাতায় প্রদেশ থেকে আসমাকে তুরস্কের সেনা গ্রেফতার করেছিল। পরে ইরাকের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। তাঁর থেকে জঙ্গি সংগঠনটির ‘অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ’ সম্পর্কে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল তুরস্কের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার তরফে।

পশ্চিম বাগদাদের কার্খের ফৌজদারি আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে নিনেভে প্রদেশের পশ্চিম প্রান্তের শিঞ্জর অঞ্চল এবং আশপাশের এলাকা দখল করে নিয়েছিল আইএস বাহিনী। সে সময় তারা হাজার হাজার ইয়াজিদিকে হত্যা এবং বন্দি করেছিল। অসংখ্য ইয়াদিদি নারীকে তারা জোর করে যৌনদাসী হতে বাধ্য করেছিল। আর শিঞ্জর অঞ্চল থেকে আইএস সেনাদের অপহরণ করে আনা ইয়াজিদি নারীদের আটকে রেখে অত্যাচার চালানোয় প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল আসমার।

এমনই এক নির্যাতিতা ইয়াজিদি নারীর পরিবারের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই মৃত্যুদন্ড হয়েছে আসমার। প্রসঙ্গত, আইএসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বাগদাদি ২০১৪ সালে নিজেকে ‘খলিফা’ হিসাবে ঘোষণা করেন। তার পর থেকে হিংসার নিরিখে অন্যান্য সব জঙ্গি সংগঠনকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছিল আইএস। ইরাক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশের দখল নিয়ে সমান্তরাল সরকার চালাতে শুরু করেছিল তারা। এমনকি, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ওই গন্ডি ছাড়িয়ে আফগানিস্তানেও পৌঁছে গিয়েছিল তারা।

২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের বারিশা এলাকায় বাগদাদির ডেরায় হানা দেয় মার্কিন বাহিনীর ডেল্টা ফোর্স এবং ৭৫তম রেঞ্জার্স রেজিমেন্ট। আচমকা হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েন বাগদাদি। তিন সন্তানকে নিয়ে একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেখানেই আত্মঘাতী জ্যাকেটের বোতাম টিপে তিন সন্তান ও নিজেকে উড়িয়ে দেন। সেই সময় তাঁর কয়েক জন অনুচরও ওই ডেরায় ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন আমেরিকার সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন। আত্মসমর্পণও করেন কয়েক জন। বারিশার ওই ডেরা থেকে ইয়াজিদি এক যৌনদাসীকে উদ্ধার করেছিল ডেল্টা ফোর্স।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ