শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
দাবানলের কারণে ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফার প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিবিসি বলছে, দুই মাসের খরার ধারাবাহিকতায় সৃষ্ট ওই দাবানল তীব্র বাতাসের কারণে শহরটির উত্তরাংশে ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিম তীরের জেরুজালেমের কাছাকাছি থাকা ঘর-বাড়িগুলোও দাবানলের হুমকির মুখে রয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “আগুন লাগার প্রতিটি ঘটনাই ছিল অগ্নিসংযোগের ফলাফল। এ ধরনের ঘটনা সব বিবেচনায় সন্ত্রাস। আমরা বিষয়টিকে এভাবেই দেখবো।”
তিনি আরো বলেন, “ইসরায়েল রাষ্ট্রের কোনো অংশ জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা যে করবে তাকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।” ইসরায়েলের পুলিশ প্রধান রোনি আলসেইচ আগুন লাগার এই ঘটনা কিছু কিছু সন্দেহের জন্ম দিয়েছে বলেন জানিয়েছেন।
তিনি জানান, যদি আগুন লাগার ঘটনাটি পরিকল্পিত হয়ে থাকে তবে এটা ভাবাই নিরাপদ যে, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
দেশটির শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট এ ঘটনায় আরব কিংবা ফিলিস্তিনিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “যারা এই দেশের অস্থিত্ব স্বীকার করে না তাদের পক্ষেই এই অগ্নিকা- ঘটানো সম্ভব।”
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনিদের উপর দায় চাপানোর লক্ষ্যে আগুন লাগার ঘটনাটিকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “যা পুড়ছে তা ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের বৃক্ষ এবং ভূমি।”
দেশটির গণনিরাপত্তা মন্ত্রী জিলাদ এরডান চ্যানেল ১০ টেলিভিশন নিউজকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার সন্দেহে আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বেশকিছু এলাকায় পুলিশ দাহ্যবস্তু এবং তরলের অস্থিত্ব পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, “আমাদের নতুন ধরনের সন্ত্রাস মোকাবিলার ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।” বনে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া ১৩০ জনেরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাইফার কাছে থাকা দুটি কারাগারও খালি করে ফেলা হয়েছে।
সাইপ্রাস, রাশিয়া, ক্রোয়েশিয়া এবং গ্রিস এই দাবানল মোকাবিলার জন্য ইসরায়েলে আকাশযানসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।- বিডিনিউজ