ইসি গঠনে সার্চ কমিটির ঘোষণা নির্বাচনের পথে দেশ!

আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ

দেশ নির্বাচনের পথে যাত্রা শুরু করেছে। পদ শূন্য হওয়ার দুই মাস পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই পদে যোগ্য ব্যক্তির নাম খুঁজতে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ কমিটির প্রধান করা হয়েছে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে। ইতোমধ্যে তার নাম মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পাশাপাশি সদস্য হিসেবে হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানকে মনোনিত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এ দ’জন বিচারপতির নাম প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনিত হওয়ার পর তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

শুরুতে আইন সংস্কারে ব্যাপক উদ্যোগের কথা বলা হলেও বিদ্যমান আইনেই গঠন হতে যাচ্ছে নতুন কমিশন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন গত ৫ সেপ্টেম্বর একযোগে পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে সাংবিধানিক এই পদগুলো শূন্য রয়েছে।

জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি (অনুসন্ধান কমিটি) গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এ অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়। আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে তারা ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। ১০ জনের মধ্য থেকেই ৫ জনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন নতুন নির্বাচন কমিশন।

রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে জোর দাবি ছিল ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ’ ঘোষণার। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ইসি গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনমুখি যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু সরকারের এ প্রক্রিয়া বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে; আবার কেউ বলছে, প্রায় দুই মাস আগে পদগুলো শূন্য হয়েছে। এ উদ্যোগ আগেই নেয়া যেত। নির্বাচনের সময় নিয়ে জনমনে স্বস্তি আনতে রোডম্যাপ ঘোষণার বিকল্প নেই।

নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির উদ্যোগ রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বস্তির আবহ তৈরি করেছে। এই উদ্যোগের ফলে ধওেরই নেয়া হচ্ছে দেশ নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে। তারপরেও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বোঝাপড়ার প্রয়োজন আছে। নির্বাচনি উদ্যোগের পথে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা যাতে তৈরি না হয় সে ব্যাপারে সব পক্ষেেক সতর্ক থাকতে হবে। যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠান করে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশ নতুনরূপে যাত্রা শুরু করবে এটাই প্রত্যাশা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version