ঈশ্বরদীতে পেঁয়াজের চেয়ে পাতার দাম দ্বিগুণ

আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৯:১১ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি


পাবনার ঈশ্বরদীতে পেঁয়াজের চেয়ে পেঁয়াজের পাতা (ফুলকি) বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঈশ্বরদী বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, যেখানে এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে সেখানে পেঁয়াজের পাতা বা ফুলকি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে।

বাজারে অন্যান্য সবজির মধ্যে সবচেয়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজের ফুলকি (পাতা)। বিক্রেতারা বলছেন, এর আগে কখনো ফুলকির দাম এত বেশি হয়নি। শীতের শুরুতেই অন্যান্য সবজির দামও এখন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঈশ্বরদী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম মৌসুমি সবজি ফুলকির। পাইকারি বাজারে দোকানিরা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। আগের চেয়ে কাঁচা মরিচের দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। আলুর দাম ৭৫ থেকে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীতের আগাম অন্য সব সবজির দামও বেশি। প্রতি কেজি শিম ও ফুলকপি ১০০ টাকা, পাতাকপি ৭০, মুলা ৫০, বেগুন ৭০, পেঁপে ৪০, করলা ১০০, পটোল ৪০, একটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতি আঁটি পালং ও লাল শাক ১৫ থেকে ২০, এক হালি কাঁচাকলা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা মজিবর রহমান বলেন, কিছু কিছু আগাম সবজি বাজারে এসেছে। আমদানিও ভালো। কিন্তু দাম আগের মতোই বেশি। সবচেয়ে বেশি দাম মৌসুমের নতুন সবজি পেঁয়াজের ফুলকির। তিনি বলেন, প্রতি কেজি ফুলকি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। এ মৌসুমের নতুন সবজি হিসেবে বর্তমান বাজারে এটিই সবচেয়ে দামি সবজি। এর আগে কখনো এত দামে ফুলকি বিক্রি করা হয়নি।
ঈশ্বরদীতে মুড়িকাটা পেঁয়াজে স্বস্তি, কমতে শুরু করেছে দাম।

এদিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু এবং বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহে কমতে শুরু করছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। গতকাল ঈশ্বরদী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ঈশ্বরদীতে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমায় ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। ঈশ্বরদী বাজারের আড়তদাররা জানান, বাজারে ভারতের পেঁয়াজ ছাড়াও মুড়িকাটা পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। এতে দেশি পুরোনো পেঁয়াজের ওপরও চাপ কমছে।

পাইকারিতে দাম কমতে শুরু করায় ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে পুরোদমে পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম আরো কমতে পারে বলে জানান ব্যাবসায়ী মজিবর রহমান। ঈশ্বরদী বাজার ও আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ পাইকারি ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারিতে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ও খুচরায় ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এর আগে দেশি পেঁয়াজ ১৮০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ১৫০ টাকা পর্যন্ত। ঈশ্বরদী বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী তন্ময় ইসলাম বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় দাম কমেছে।

সব্জি ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, গত দুতিন দিন ধরে বাজারে পুরোদমে আসতে শুরু করেছে ভারতীয় ও স্থানীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ। বাজারে আসা ক্রেতা তানজিরুল আলম বলেন, পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ