সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সেলিম সরদার, ঈশ্বরদী
ঈশ্বরদীতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৌচাষ শুরু করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিউ এরা ফাউন্ডেশন। শুরুতে সম্ভাবনাময় এ কাজে ব্যাপক সফলতাও অর্জন করেছে তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশজুড়ে ঈশ্বরদীর লিচু প্রসিদ্ধ। এই এলাকায় এখন প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকান্ডই লিচু চাষকে ঘিরে। লিচুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই এলাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও কর্ম-সংস্থানের বিশাল সম্ভাবনা। এরই অংশ হিসেবে লিচু বাগানে মৌচাষ এবং মধু সংগ্রহের মাধ্যমে লিচু চাষের পাশাপাশি মধুতেও ঈশ্বরদীর অর্থনৈতিক কর্মকা- আরো একধাপ এগিয়ে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। নিউ এরা ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অত্র এলাকার দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী মোস্তাক আহমেদ কিরণ জানান, প্রাথমিকভাবে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ১৫ জন মহিলা-পুরুষ সদস্যকে বিসিক এর সহযোগিতায় ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে হাতে কলমে মৌচাষ শিখিয়ে এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে মধু উৎপাদন শুরু করেছে তারা।
মৌচাষের সঙ্গে জড়িতরা জানান এটি একটি সহজ ও লাভজনক অর্থনৈতিক কর্ম যা বাড়ির মহিলারাই করতে পারে। এর জন্য দৈনন্দিন কাজের কোন ব্যাঘাত ঘটেনা বরং পরিবারের বাড়তি আয় হয়। একটি মৌবক্স থেকে ১৫ দিন পর পর গড়ে এক হাজার টাকা করে আয় করতে পারেন তারা।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রওশন জামাল বলেন, এটি কৃষির একটি সমন্বিত উদ্যোগ এবং মৌচাষের মাধ্যমে কৃষির বহুমূখীকরণ হচ্ছে এবং ফসলের উৎপাদন বাড়ছে। ঈশ্বরদীতে সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোগী কৃষক সমন্বিতভাবে কাজ করলে কৃষির আরো উন্নয়ন ঘটবে বলে তিনি মন্তব্য করেন ।
গ্রামের বিভিন্ন লিচু বাগানের মধু খামার থেকে সংগ্রহ করা মধু প্রচলিত সাধারণ পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাতকরণ শুরু করেছে। ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারীতে কেজি প্রতি ২৫০ টাকা দরে ভেজালমুক্ত শতভাগ খাঁটি মধু বিক্রি শুরু হয়েছে।